ঢাকার দুই প্রান্তে শান্তি সমাবেশ করবে আ.লীগ

0

আওয়ামী লীগ আজও রাজপথে থাকবে। আজ ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে পৃথক দুটি শান্তি সমাবেশের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে বড় শোডাউন করবে ক্ষমতাসীন দলটি। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ও দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ব্যানারে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। উভয় সমাবেশে সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিএনপির অব্যাহত নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

বিকাল ৩টায় রাজধানীর মিরপুরে শহীদ মিনার চত্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে বক্তব্য রাখবেন। অপরদিকে বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগের পৃথক শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। উল্টো সরকার সমর্থকরা শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, গত কয়েক মাসের আন্দোলন কর্মসূচির মতো আজ বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

এ জন্য তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে মহাসড়ক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। একই সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত ও সহিংসতা মোকাবেলায় রাজপথে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সতর্ক রাখা হবে। বিএনপির কর্মসূচীকে ঘিরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কোনো বিপদ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখাই এর উদ্দেশ্য।

বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের চলমান আন্দোলন কর্মসূচির বিপরীতে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে শান্তি সমাবেশ ও তৎপরতা কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ। সরকারবিরোধী কর্মসূচির দিনেও শান্তি সমাবেশের আয়োজন করছে ক্ষমতাসীন দলটি।

তবে রোজার মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচির পরিবর্তে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কর্মসূচি পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সারাদেশে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। তবে রোজার মাসেও বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকায় দুই জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ একবার শান্তি সমাবেশ করেছিল।

গত ১লা মে মহান মে দিবস উপলক্ষে একই দিনে রাজধানীতে সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ জাতীয় শ্রমিক লীগের ব্যানারে শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভা করে। আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ দখলের এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।

আজকের শান্তি সমাবেশে ঢাকা মহানগরীর সকল থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা থেকেও এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুবলীগ থেকেও একই ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি ও তাদের জোট আন্দোলনের নামে দেশে সন্ত্রাস-সহিংসতা ও নৈরাজ্য ঘটাতে চায়। এ থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করা সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। এ কারণে শান্তি সমাবেশের পাশাপাশি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাও সতর্ক রয়েছে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করা হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত আবারো দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারা আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ বিএনপিকে দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *