নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন ‘নিষিদ্ধ’ সোহাগ
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফফে) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য ফুটবলের সব কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।
ওই ঘটনায় তাকে বাংলাদেশ ফুটবল থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাফা। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করেছেন সোহাগ। বুধবার (১০ মে) সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সোহাগ বলেন, “অনেক বিষয়ে (ফিফার নিয়মের কারণে) মন্তব্য করা সম্ভব নয়। আমি আপিল করেছি। কারণ আমি নিজেকে নির্দোষ দাবি করছি। আশা করি আমি নিজের সম্মান ফিরিয়ে আনতে পারব এবং আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে গিয়েছি।
সোহাগ জানান, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসার কারণেই বাফুফে এসেছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছেন, দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে। ফুটবলে ফিরতে পারবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করায় সোহাগকে জুরিখে মামলাটি সামলাতে হবে। যা বেশ ব্যয়বহুল। টাকার উৎস জানতে চাইলে তার আইনজীবী বলেন, তিনি ছাড় দিয়েছেন। কিন্তু তিনি জুরিখ সম্পর্কে সচেতন নন। আইনি সহায়তা ছাড়াই সোহাগকে বহিষ্কার করেছে বাফুফে।
বাফুফের সাবেক এই কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে বলেন, “আমাকে লড়াই করতে হবে (নির্দোষ প্রমাণ করতে)। বাফুফ দায়িত্ব নিলে কী হবে এবং না নিলে কী হবে। আমি চাইলেও বাফুতে থাকতে পারতাম না। আপনারা অনেক কিছুই বোঝেন। আমি কিছু বলব না।’