দুই ভবনের ওপর নজর ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ
মেট্রোরেলে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনটি বাণিজ্যিক ভবন প্রাথমিকভাবে সন্দেহের মুখে পড়ে। এখন তিনটি ভবনের মধ্যে দুটিতে নজরদারি চলছে। পাশের ভবনের ছাদ থেকে বা অন্য ভবনের জানালা দিয়ে ঢিল ছোড়া হয়েছে। এরই মধ্যে ২০ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ৩০ এপ্রিল সকাল ১১টা ০৫:৩৩ মিনিটে শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে মেট্রো রেলে পাথর ছোড়া হয়। মেট্রোরেলের ভিতরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তা শনাক্ত করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে সন্দেহজনক তালিকায় রাখা হয়েছে তিনটি বাণিজ্যিক ভবন। এরপর ওই সময় ওই ভবনে কারা ছিলেন তার তালিকা তৈরি করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ২০ জনকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আরেক কর্মকর্তা জানান, পাথর ছোড়ার প্রমাণও ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, মেট্রোরেলে পাথর ছোড়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেট্রোরেল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আলাদা পুলিশ ইউনিট। তাহলে দুর্বৃত্তদের আরও কড়া নজরদারি করা যাবে।
মিরপুর বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম বলেন, আশা করছি শিগগিরই দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। কিছু তথ্য পেয়েছি। আইটি তদন্ত ছাড়াও, ম্যানুয়াল উত্সগুলিও ব্যবহার করা হয়। এক ভবনের জানালা আর অন্য ভবনের ছাদের চারপাশে সন্দেহ বেশি।
মেট্রোরেলে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে। মেট্রোরেল-২০১৫ আইনে দায়ের করা মামলায় বলা হয়, মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত গ্লাস মেরামত করতে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তদন্তের সঙ্গে জড়িত আরেক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ পর্যন্ত যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুজনকে ঘিরে অনেক সন্দেহ রয়েছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে ওই দুইজনকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এমআরটি পুলিশ শিগগিরই কাজ শুরু করবে
মেট্রোরেলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৩১ জন কর্মী নিয়ে ইতিমধ্যেই সচিবদের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ ফোর্স। সরকারি আদেশ জারি হলেই তারা কাজ শুরু করবে। এমআরটি পুলিশ সদর দপ্তর হবে পূর্বাচলে। ইউনিটটির নেতৃত্বে থাকবেন একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি)। এমআরটি পুলিশ প্রধান ছাড়াও অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), ইন্সপেক্টর (সশস্ত্র), এসআই, এএসআই, নায়েক, কনস্টেবল, হিসাবরক্ষক, সহকারী হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, মোট ২৩১ জন। অনুমোদিত হয়েছে। এই ইউনিটের বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত সদস্যদের আলাদা ইউনিফর্ম থাকবে। ইউনিটের জন্য যানবাহনও প্রস্তাব করা হয়েছে।