মুক্তিকে হত্যার পর ধানক্ষেতে লুকিয়ে ছিল কাউসার
নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মুক্তি রানী বর্মণ নামে এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার অভিযোগে কাউসার মিয়াকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার প্রেমনগর চালিপুরা গ্রামের ধানক্ষেত থেকে কাউসার মিয়াকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হত্যার পর ওই ধানক্ষেতে লুকিয়ে ছিলেন কাউসার।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ ওই যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফয়েজ আহমেদ বলেন, হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ঘাতক কাউসার মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর ঘাতক কাউসার ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি ধানক্ষেতে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
স্থানীয়রা জানান, চালিপুরা গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে মুক্তি রানী বর্মণ প্রেমনগর চালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রতিবেশী কাউছার মিয়া তাকে উত্ত্যক্ত করে। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় কাউসার মিয়া ও তার কয়েকজন সহযোগী তার পথ অবরোধ করে। এক পর্যায়ে কাউসার ছুরি দিয়ে মুক্তি রানীকে আঘাত করেন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে যাওয়ার পথে বিকেল ৪টার দিকে মুক্তি রানীর মৃত্যু হয়।