শিকল টেনে ট্রেন থামালে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।এমন প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ের
জরুরি প্রয়োজনে ট্রেন থামানোর শিকল রয়েছে। ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনে কারণ ছাড়াই শিকল টানার শাস্তি ২০০ টাকা। সময়ের সাথে সাথে টাকার মান কমে যাওয়ায় এই শাস্তি এখন ছোট। ফলে যাত্রীরা তাদের পছন্দের গন্তব্যে নামার জন্য শিকল টেনে ট্রেন থামাচ্ছেন। চোরাকারবারীরা পণ্য লোড-আনলোড করছে। এটি ঠেকাতে রেলপথ মন্ত্রণালয় জরিমানা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছে।
পশ্চিম রেলওয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত দুই মাসে শিকল টেনে বা হোস পাইপ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ট্রেন থামানোর ৩৩টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রেলওয়ের পাকশী সেকশনে ৩১ বার এ ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ডিসেম্বরে এক ঘণ্টা ৫৮ মিনিট বিলম্ব হয়। নভেম্বরে ৪৫ মিনিট বিলম্ব হয়েছিল। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, পাকশী বিভাগে ২০ বার ট্রেন থামানো হয়েছিল। লালমনিরহাট সেকশনে দুবার থামে। এতে ট্রেনটি দুই ঘণ্টা ২৭ মিনিট বিলম্বিত হয়।
১২৩ বছরের পুরনো রেলওয়ে আইন সংশোধন করা হচ্ছে। জরিমানা বাড়ানোর প্রস্তাব করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংশোধনী পাঠানো হয়েছে। সেখানে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, চোরাকারবারিদের দ্বারা ট্রেন থামানোর ঘটনা খুব কম। পশ্চিমে কিছু আছে। অনির্দিষ্ট স্থানে ট্রেন থামানোর জন্য যাত্রীরা চেইন টানছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, শিকল টেনে ট্রেন থামিয়ে ও হোস পাইপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা সম্প্রতি বেড়েছে। হঠাৎ ট্রেন থেমে যায়। চেইন টানলে ইঞ্জিনে বাতাসের চাপ কমে যায়, ফলে ট্রেন চলতে পারে না।