যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিরুদ্ধে আরও আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ

0

চেক জাল করে শোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কাছ থেকে আরও আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ দুদকে আরেকটি অভিযোগ দেয়। অভিযোগে অভিযোগ করা হয়েছে, বর্তমান চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেন সচিব থাকা অবস্থায় হিসাব সহকারী আবদুস সালাম এসব জালিয়াতি করেছেন। তারা মোট পাঁচ কোটি টাকা জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছে।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক বলেন, আরও আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতির প্রমাণ আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে ২১ অক্টোবর দুদকে আরেকটি অভিযোগ জমা দিয়েছি। বর্তমান চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেন বোর্ডের সচিব থাকাকালীন এই প্রতারণাটি প্রথম করা হয়েছে। বোর্ডের আবদুস সালাম তখন হিসাব শাখার দায়িত্বে ছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি, তার নেতৃত্বে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক যশোরের শরিফুল ইসলাম বাবু এসব প্রতারণা করেছেন। এখন বিষয়টি দুদক দেখবে। ‘

যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. নাজমুছায়াদাত বলেন, “আমাদের কাছে আরও আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। কারা কারা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করা হবে।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মামলাটি দায়ের করেছেন।

আসামিরা হলেন, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমির হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, প্রতারক ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু এবং শেখহাটি জামরুলতলার শাহীলাল আলম।

গত ১৮ অক্টোবর মামলা দায়েরের পর চেয়ারম্যান ও সচিব একই রাতে তাদের বাংলো ছেড়ে চলে যান। এরপর তারা কেউ অফিসে আসেননি।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র আরও আড়াই কোটি টাকার জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আবদুস সালাম এবং তার ব্যবসায়িক অংশীদার যখন কেলেঙ্কারি শুরু করেন তখন বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান একজন সচিব ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *