ইউক্রেন সংকট।কিয়েভকে বিশাল আর্থিক সাহায্য

0

বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির জোট জি৭ আগামী বছর ইউক্রেনের জন্য ৩,২০০ কোটি ডলারের বাজেট এবং আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

“আমরা দৃঢ়ভাবে ইউক্রেনের তাত্ক্ষণিক স্বল্পমেয়াদী অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি এবং অন্যান্য দাতাদের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে তাদের অবদান বাড়াতে আহ্বান জানাচ্ছি,” বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জি৭ মন্ত্রীরা বলেছেন। বিবৃতি অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিশ্রুত সাহায্যে ১৯০০ কোটি ডলার দিয়েছে। জার্মানির অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন করা জি৭ এর অগ্রাধিকার।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান চান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিন বৃহস্পতিবার পুতিন এই মন্তব্য করেন। পুতিন বলেন, আমাদের লক্ষ্য সামরিক সংঘাত অব্যাহত রাখা নয়, বরং এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো (আমাদের লক্ষ্য)। আমরা এই যুদ্ধের অবসানের চেষ্টা করব এবং যত তাড়াতাড়ি হয়।

তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পুতিন আলোচনায় কোনো আগ্রহ দেখাননি। পুতিনের মন্তব্য তার কর্মের সম্পূর্ণ বিপরীত। কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন পুতিনের সঙ্গে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু সেটা তখনই ঘটবে যখন রুশ নেতা আলোচনার ব্যাপারে গুরুত্ব দেখাবেন।

রাশিয়া অবশ্য বলেছে মস্কো আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু ইউক্রেন এবং তার মিত্ররা এটিকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়ার ব্যর্থতার পর সময় কাটাতে একটি চক্রান্ত হিসেবে দেখছে। এদিকে মার্কিন প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সম্প্রতি, রাষ্ট্রপতি বাইডেন জেলেনস্কিকে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছেন। তবে পুতিন দাবি করেছেন প্যাট্রিয়ট সিস্টেমটি “বেশ পুরানো” এবং রাশিয়ার এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো কার্যকর নয়।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারকে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট সরবরাহ করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে। তবে পিয়ংইয়ং এই দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে নিন্দা করেছে। ওয়াগনারও ওয়াশিংটনের দাবি অস্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের জন কিরবি বলেন, পিয়ংইয়ং ওয়াগনার গ্রুপের কাছে অস্ত্রের একটি চালান পাঠিয়েছে, যা ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য ব্যবহার করা হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের ইউক্রেনে প্রায় ৫০,০০০ কর্মী রয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ায় ১০,০০০ ঠিকাদার এবং ৪০,০০০ দণ্ডিত আসামিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাইডেন প্রশাসন ওয়াগনারের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে।

রাশিয়া আগামী মাসে তেল উৎপাদন কমানোর হুমকি দেওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানির মূল্য নির্ধারণের প্রতিক্রিয়ায় মস্কো শুক্রবার ২০২৩ সালের প্রথম দিকে উৎপাদন ৫ থেকে ৭ শতাংশ কমানোর হুমকি দিয়েছে। এরপর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম এক ডলারের বেশি বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *