আর্জেন্টিনার ‘সুপার হিরো’ অ্যামি মার্টিনেজ
আর্জেন্টিনা ‘অতিমানব’ লিওনেল মেসির দল। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ সম্ভবত এই ধারণা ভেঙে দিয়েছেন। আর্জেন্টিনা ‘অতিমানবদের দল’ নয়। লিওর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। তিনি তার ক্যারিয়ারের সেরা খেলেছেন তার পঞ্চম ও শেষ বিশ্বকাপে। এর আগে কখনো নকআউটে গোল করেননি। প্রতিবার নকআউটে গোল করেছেন।
মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতটি গোল এসেছে কিংবদন্তি মেসির পা থেকে। টাইব্রেকারে বিশ্বকাপ জিতে ‘সর্বকালের সেরা অর বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছেন তিনি। তবে শুধু ‘এলিয়েন’ মেসির অসাধারণ পারফরম্যান্সেই বিশ্বকাপ জিততে পারেননি আলবিসেলেস্তেরাও। মার্টিনেজের অতিমানবীয়র জন্য জিতেছে।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে তার ক্যারিয়ার মাত্র ২৫টি ম্যাচ। এ কারণেই তিনি কিংবদন্তি। ২০২১ সালে অভিষেক হওয়া এমি মার্টিনেজ আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সেরা গোলরক্ষক। কারণ সেই ২৫ ম্যাচ ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের হয়ে তিনটি শিরোপা জিতেছিলেন তিনি।
ব্রাজিলের মাটিতে কোপা আমেরিকা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল অ্যামি মার্টিনেজের। ওই আসরে টাইব্রেকারে দলকে জয় এনে দেন তিনি। এরপর এ বছর ইতালির বিপক্ষে ফাইনালে জিতেছে এমি-মেসির আর্জেন্টিনা। এবারের বিশ্বকাপ জিতেছে নীল-সাদা।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে ২-০ তে এগিয়ে থাকার পরও ম্যাচটি শেষ হয় ২-২ গোলে। ডাচদের প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন যখন হুমকির মুখে, তখন এমি মেসিকে বলেছিলেন, “আমি আছি।” তিনি সত্যিই অতিমানব দেখান. ফিরালেন দুটি শট। দল জিতেছে ৪-৩ ব্যবধানে।
এবার ফাইনাল টাইব্রেকারে নিজের চাপ সামলানোর অসাধারণ ক্ষমতা দেখালেন তিনি। এই ম্যাচে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পে গোল করেন ২-২। অতিরিক্ত সময়ে লিও গোল করলেও পেনাল্টিতে আবারও গোল করতে হয় এমিরকে। কিন্তু টাইব্রেকারে তিনি ফ্রান্সের চারটি শট দুটি দুর্দান্ত দক্ষতায় ফিরিয়ে দিয়ে দেখিয়েছেন কেন তিনি ‘বাজপাখি’, কেন তিনি ‘পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ’।