পাকিস্তান এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তানের শাসকরা যারা একসময় বাঙালিদের প্রতি উদাসীনতা দেখিয়েছিল, তারা আজ আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
তিনি বলেন, “আমরা সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক এগিয়ে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন মাথাপিছু আয়ে ভারতকে পেছনে ফেলে ভারতীয় মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের মিডিয়া তা করছে না। দেশের এমন সাফল্যের সাড়া নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের সংগ্রাম, বিজয় ও সমৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেছে হাসান মাহমুদ।
ডাঃ হাসান বলেন, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আমাদেরকে বিশ্বের কাছে কৃষির মডেল হিসেবে উপস্থাপন করে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দ দেশ ছাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গেও পৌঁছেছে। তারা একে বাঙালির সেতু বলে মনে করেন। আর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হবে উপমহাদেশের প্রথম সড়ক সুড়ঙ্গ।
১৯৩৯ সাল থেকে দেশের প্রাচীনতম গণমাধ্যম সম্প্রচার বেতারের সদর দপ্তর মিলনায়তনে বিজয় দিবসের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডক্টর হাসান মাহমুদ তার শৈশবে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, নিজগ্রাম ‘সুখ বিলাস’-এ পাকিস্তান বাহিনীর নির্বিচার গুলি, হত্যা ও নির্যাতনের কথা স্মরণ করেন এবং যুদ্ধ শেষে বিজয়ের কথা স্মরণ করেন। সেই অস্থির সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কথা শোনার জন্য তাঁর গ্রামের মানুষের অধীর অপেক্ষার কথা তিনি স্মরণ করেন।
রেডিওকে দেশের ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে অন্য গণমাধ্যম পৌঁছাতে পারে না, সেখানে রেডিও তরঙ্গ পৌঁছে যায়। তাই বেতার মানুষের বন্ধু। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে ওয়্যারলেস বড় ভূমিকা রাখবে। হাছান মাহমুদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানগুলো ডিজিটাল ফরম্যাটে সংরক্ষণ করে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে সম্প্রচারেরও নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) ও বাংলাদেশ বেতারের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক খাদিজা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও বেতারের সাবেক পরিচালক আশরাফুল আলম এবং বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ইভেন্টস) নসরুল্লাহ মোঃ ইরফান।
সাংস্কৃতিক পর্বে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের গান, শিমুল মোস্তফার আবৃত্তি, শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের নৃত্যের পাশাপাশি জনপ্রিয় শিল্পীদের গান পরিবেশন করা হয়।