সম্ভাব্যতা যাচাই চুক্তির অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত।চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণে আগ্রহী কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার বেসরকারি খাত চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্প নির্মাণে অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহী। ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত এলইই জাং-কিউন বলেছেন, কোরিয়ান সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (KOICA) সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ৬ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রদান করছে। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ইআরডির এশিয়া বিভাগ ও কোইকার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এশিয়া বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নূরী, এশিয়া বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়ং আহ দো স্বাক্ষর করেন। রাজধানীর পরিকল্পনা কমিশনের এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইআরডি সচিব শরিফা খান।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তার দেশ পাইপলাইনে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়। কোরিয়া সরকারের সাথে সংলাপ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে অবকাঠামো খাতের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঋণ ও অনুদান সহায়তা দিতে প্রস্তুত। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান দেওয়া হয়েছে। কোরিয়ার ঋণের সুদের হার মাত্র ০.১ থেকে ০.৪ শতাংশ। ১৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ড সহ ৪০ বছরে প্রদেয়।
ইআরডি সচিব বলেন, কোরিয়া অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে বলে বাংলাদেশ আশা করে। তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, KOICA-এর অর্থায়নে চট্টগ্রাম নগরকেন্দ্রিক মেট্রোরেল নির্মাণ এবং চট্টগ্রামের পরিবহন খাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য একটি পরিবহন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, যানজটমুক্ত সড়ক প্রবর্তন এবং যানজট ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যও রয়েছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মেট্রো রেল ও পরিবহন অবকাঠামো খাতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।