চোখের জলে বিদায় রোনালদোর

0

একদিন আগে বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ ছিল। একদিকে নেইমারের কান্না, অন্যদিকে মেসির আনন্দ। গতকাল শনিবার রাতের প্রথম ম্যাচে আরেক তারকার কান্না দেখল ফুটবল বিশ্ব। এবার মরক্কোর কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হলো পর্তুগালকে।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জন্য আরেকটি খারাপ অধ্যায়ের সমাপ্তি। ক্লাব ক্যারিয়ারের অন্ধকারের মধ্যে দেশের জার্সিতে আলোর সন্ধান পাওয়া এই ফুটবল সুপারস্টারকে বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। শেষ ষোলোয় তাকে সাইড বেঞ্চে বসিয়েছে পর্তুগাল। রামোস তার বদলি হিসেবে আসেন এবং দলকে কোয়ার্টারে টিকিট পেতে হ্যাটট্রিক করেন; রোনালদোর জন্য এটি ছিল আনন্দের ও হতাশার দিন। কে ভেবেছিল ক্যারিয়ারের শেষ দিকে তাকে বেঞ্চে বসতে হবে। আল্লাহ তার জন্য ভালো কিছু রাখেনি। গতকালও একই চিত্র দেখা গেছে। শুরুর একাদশে ছিলেন না রোনালদো। সাইডবেঞ্চে বসে তাকে দেখছিল মরক্কোর মুন্সিয়ানা। প্রথমার্ধের ৪২তম মিনিটে মরক্কোর ইউসেফ নেসেরির দুর্দান্ত গোলে মুখ লুকান। বোধহয় আফসোস করে বললো ‘ইশ! এমন একটা লক্ষ্য থাকলেও দিতে পারতাম।’ পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস সম্ভবত তার কথা শুনেছেন। বিরতির পর তাকে মাঠে নামায় তারা। কিন্তু যে আশায় নেমেছিল, তা পূরণ হয়নি। তিনি বেশ কিছু সুযোগ পেলেও সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত কাঁদতে কাঁদতে ড্রেসিংরুমের দিকে ছুটতে হয় তাকে।

রোনালদোর বয়স হয়েছে, আগের ফর্মে নেই। কয়েকদিন আগে ক্লাব থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। বাকি ছিল জাতীয় দলের। এমন হতাশার ছাপও আছে। হয়তো দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলা হবে না। যদিও ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। কিন্তু সেটা সম্ভব কিনা কে জানে। তবে গতকালের ম্যাচে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন সিআর সেভেন। পুরুষ ফুটবলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার বাদের আল মুতাওয়াকে স্পর্শ করেছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি ১৯৬ ম্যাচ খেলে তালিকার এক নম্বরে ছিলেন এই কুয়েতি ফুটবলার। গতকাল তার পাশে বসেছিলেন রোনালদো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *