কাঁচা পাট রপ্তানির জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে না
কাঁচা পাট রপ্তানির সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে। আগে শর্তসাপেক্ষে পণ্য রপ্তানি করা যেত। রপ্তানি নীতি থেকে শর্তসাপেক্ষ এই শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে পণ্য রপ্তানির জন্য আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে না। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এর আগে গত ২১ নভেম্বর এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রপ্তানি নীতিতে (২০২১-২৪), শর্তাধীন রপ্তানি পণ্যের তালিকায় কাঁচা পাট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়েই কাঁচা পাট রপ্তানি করা যেত। ব্যবসায়ীদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর পণ্যটির রপ্তানির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। নতুন সিদ্ধান্তে কাঁচা পাট রপ্তানি সীমিত হবে। উপকৃত হবেন সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকরা। পাট শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ পাটকল সমিতির মহাসচিব আবদুল রেরেক খান। সে বলেছিল. এভাবে রপ্তানি খুলে দিলে কাঁচা পাট পাচার হতে পারে। স্থলবন্দর দিয়ে নয় শুধু সমুদ্র বন্দর দিয়ে রপ্তানির অনুমতি দিতে হবে। এতে চোরাচালান রোধ হবে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২১.৬১ মিলিয়ন ডলারের কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছিল। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা $২৪০ মিলিয়ন। এসব পণ্য ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।