খালেদা জিয়ার বাসার সামনে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ, বনানীতে অভিযান

0

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ফিরোজার সামনের সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাত ১০টার দিকে এই চেকপোস্ট বসানো হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য দিয়ে বলেন, সড়কের দুই পাশে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

হঠাৎ তল্লাশির কারণ সম্পর্কে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। তল্লাশি চৌকিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা কিছু বলতে রাজি হননি।

এদিকে বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ শুরু করেছে পুলিশ। বনানীর কাকলী এলাকার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়।

এ প্রসঙ্গে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আবদুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, বনানীর কাকলী এলাকায় জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের অবস্থান সন্দেহে পুলিশ ‘ব্লক রেইড’ চালাচ্ছে। রাত সাড়ে ১০টায় দেখা যায়, বিমানবন্দর সড়কের কাকলী এলাকায় কয়েকটি আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির জনসভাকে ঘিরে খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে দলটির দাবি। নয়াপল্টনের জনসভায় খালেদা জিয়া যোগ দিতে পারেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে।

তবে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সমাবেশে খালেদা জিয়ার উপস্থিতির কোনো সম্ভাবনা নেই। এ ধরনের কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা তারা নেয়নি। তাছাড়া খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। শর্তসাপেক্ষে জামিনে থাকলেও তিনি এখনো মুক্ত নন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর পরিবারের অনুরোধে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে তার মুক্তির মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানো হয়। মুক্তির পর থেকেই তিনি ফিরোজে রয়েছেন। তবে করোনাসহ অসুস্থতায় বেশ কয়েকবার বারিধারার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। গত জুনে খালেদা জিয়ার হার্টে রিং পরানো হয়। বর্তমানে তিনি বেসরকারি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ফিরোজায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ১ ডিসেম্বর পুলিশের বিশেষ অভিযানের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে দুই জঙ্গি আটকের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলমান অভিযান। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহান বিজয় দিবস, খ্রিস্টীয় বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ (থার্টি ফার্স্ট নাইট) নির্বিঘ্নে উদযাপন। দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য স্থান ছাড়াও আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে আছে সেসব স্থানে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *