সামাজিক নিরাপত্তায় সফলতা পেতে হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে

0

Description of image

সমসাময়িক-রূপান্তর গোলটেবিল বক্তারা

তৃণমূলের মানুষ জড়িত না থাকায় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল সফল হচ্ছে না। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে এবং তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।

সোমবার সমকাল ও বেসরকারি সংস্থা পরমবন আয়োজিত ‘সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল ও অগ্রগতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সমকাল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসিআইডির নির্বাহী পরিচালক একেএম মাসুদ আলী।

আলোচকরা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের বাস্তবতার আলোকে সামাজিক নিরাপত্তার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। তৃণমূলের মানুষ যাতে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সামাজিক নিরাপত্তার ওপর জোর দিতে হবে। সামাজিক সুরক্ষায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

গোল টেবিলে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মনিরুজ্জামান বলেন, “প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার এখনো অনেক পিছিয়ে। কারণ প্রকৃত দরিদ্র নির্ধারণ করা হচ্ছে না। প্রতিটি উপজেলায় একটি তালিকা তৈরি করা হলে এনজিওগুলো গরিব মানুষ উপকৃত হতো। নতুন কর্ম কৌশলের মাধ্যমে সরকারের সাথে একসাথে কাজ করেছে।

সমাজসেবা অধিদফতরের সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক পরিচালক মো. মোক্তার হোসেন বলেন, “অনেক সরকারি কর্মকর্তা এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও এখনো জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল সম্পর্কে সচেতন নন, তাই সমাজে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।

ট্রান্সফরমেশনের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে গেলে তারা লক্ষ্য করবেন মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।

গবেষক তোফাজ্জল হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘২০১৫ সালে অনুমোদিত জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল বেশ শক্তিশালী। কিন্তু পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষ সচেতন নয়। স্থানীয় বাস্তবতার আলোকে যে পরিকল্পনা দরকার তা এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।