কানাডাকে উড়িয়ে স্বরুপে ফিরল ক্রোয়েশিয়া

0

রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার নামের পাশেও প্রশ্ন চিহ্ন বসল। মরক্কোর বিপক্ষে তারা আটকে যায়। এমন সুযোগ তৈরি করতে পারেননি লুকা মডরিচ। রোববার কানাডার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়াটরা। তবে ক্র্যামারিক-পেরিসিকের জাদুতে ৪-১ গোলের জয়ে ফর্মে ফিরেছে সোনালি প্রজন্মের শেষ ক্রোয়েশিয়ান প্রতিনিধিরা।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল করে ফেলে ক্রোয়েশিয়া। বায়ার্ন মিউনিখে খেলা কানাডার সেরা তারকা আলফোনসো ডেভিস ম্যাচের ৮৬তম সেকেন্ডে গোল করেন। যা দুই বিশ্বকাপের মধ্যে গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে কম সময়ের গোলের রেকর্ড। ডেভিস, যিনি শরণার্থী শিবির থেকে বিশ্ব তারকাতে গিয়েছিলেন, ডান দিক থেকে বুকাননের দুর্দান্ত ক্রসে হেড করেন।

ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার ক্রামরিক সেই গোলটি  করেন। তার সঙ্গে গোল করেন দলের অভিজ্ঞ তারকা পেরিসিক। ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। প্রথমার্ধে জোরানভিচের পাস থেকে গোল করে ক্রোয়াটদের স্বস্তি দেন লিভাজা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৭০তম মিনিটে হফেনহেইমে খেলা আন্দ্রেজ ক্রামরিক দলকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন। এবার তার গোলদাতা পেরিসিক টটেনহ্যামে খেলছেন। সেই পাসে তিনি দেশের হয়ে বিশ্বকাপ ও ইউরোতে সবচেয়ে বেশি ১৬ গোলে সহায়তা করার রেকর্ড গড়েন। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের পর দলকে বড় জয় এনে দেন ভাসান নামা মাজার।

শুধু বড় জয় নয়, দারুণ ফুটবল খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। বেলজিয়ামের বিপক্ষে পুরো ম্যাচেই নিয়ন্ত্রণ করে কানাডা। যা গোলে ১৫টি শট নেন। তাদের পাত্তা দেয়নি ক্রোয়েশিয়া। ৫২ শতাংশ বল পায়ের কাছে রেখেও কানাডা লক্ষ্যভেদে মাত্র দুটি শট পরিচালনা করতে পারে। তিনটি মিস শট। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার গোলে ছিল ১০টি শট। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলায় আরও একটি বা দুটি গোল না পেয়ে আফসোস হতে পারে গ্ল্যাটকো ডালিকের দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *