সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা।’জাদুঘরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার’

0

জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হাইকোর্ট জাদুঘরে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিএনপি। অন্যদিকে রিজার্ভ সংকটের কারণে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়া আরও বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি-দলীয় সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির একাধিক সদস্য বলেছেন, দেশের নানা সংকট উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি খেলায় নেমেছে। এই দুই দলের খেলা নিয়ে উচ্ছ্বসিত দেশের মানুষ।

সংসদের ২০তম অধিবেশনের সমাপনী দিনে পয়েন্ট অব অর্ডার আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

ব্যাপক দুর্নীতি দেশের প্রবৃদ্ধিকে খেয়ে ফেলছে দাবি করে বিএনপি-দলীয় সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ বলেন, মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ, রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে ১০ শতাংশের বেশি। গত ১০ বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।

সরকারের আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব তুলে ধরে জিএম সিরাজ বলেন, এটা অর্থনীতির জন্য আরও বিপজ্জনক। দেশকে বাঁচাতে জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে। শিল্পে গ্যাস সংকট তৈরি হয়েছে। এটি অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করার জন্য সবাইকে জাতীয়ভাবে বসতে হবে।

সত্য স্বীকার করে সরকারকে বেইল আউট কর্মসূচিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন। আইএমএফ বা আমেরিকার কাছে যাবো। ভূ-রাজনৈতিক কারণে তারা আমাদের বন্ধু না শত্রু তা দেখার বিষয়।

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সম্প্রতি রাজনীতিতে নতুন শব্দ যুক্ত হয়েছে। সবাই বলছে খেলা হবে। খেলা কি হবে? কোথায় খেলা হবে? কার সাথে খেলবে? মানুষ কোথায় খেলা দেখতে যাবে? আমি এটা বুঝতে পারছি না. তিনি বলেন, নারী নেত্রীরাও বলছেন তারা খেলবেন-আসেন। খেলা হবে কিভাবে যে সম্পর্কে? নেতারা বলছেন, খেলা হবে, দেখিয়ে দেব। এত হালকাভাবে কথা বলে রাজনীতিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। রাজনীতি একটি কঠিন বিষয়।

দ্রব্যমূল্য প্রতিদিন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ বাঁচতে চায়। আমরা এই খেলা দেখতে চাই না. এটা একটা রসিকতা, এটা বন্ধ করতে হবে। রাজনীতির একটা ভাষা আছে। ক্ষমতা থাকলে লড়াই করো।

সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির সমাবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এর পরও জনগণের অতিরিক্ত অংশগ্রহণ নিয়ে সরকারের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এ কারণে সরকারের প্রতিটি মন্ত্রী একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। দায়িত্বশীল জায়গা থেকে অযাচিত বক্তৃতা। এগুলো প্রত্যাশিত নয়। অর্থনৈতিক সঙ্কট স্বীকার করুন এবং এটি মোকাবেলার উপায় খুঁজুন।

গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান বলে এর সমাধান হবে না। রাজনৈতিক সংকটের কারণে সরকারের কর্মকাণ্ডে জনমনে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। ভোট ব্যবস্থার প্রতিও জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।

বিএনপি বেশি বেরে গেলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হবে- প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে হারুন বলেন, সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেছে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই, আইনের শাসন থাকলে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য কাম্য ছিল না।

বিরোধী দলের সদস্যদের এসব বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি রাজপথে নামবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার মানে তিনি লাঠিসোটা নিয়ে আবার মাঠে নামবেন। এর বিরুদ্ধে খেলা হবে। বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *