চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ১১০ টি ঘটনায় ২৯ জন আহত
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নয় মাসে চলন্ত ট্রেনে ১১০টি পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় ২৯ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় ১০৩টি ট্রেনের জানালা ভেঙে গেছে। দেশের ১৫ টি এলাকায় পাথর নিক্ষেপ বেশি দেখা যায়।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেসব এলাকায় পাথর নিক্ষেপ বেশি হয় সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, বারবকুণ্ডাম ফেনীর ফাজিলপুর-কালিদহ এবং নরসিংদীর নরসিংদী, জিনারদী এবং ঘোড়াশাল। পশ্চিম রেলওয়ের চুয়াডাঙ্গা বহিরাগত, নাটোরের আব্দুলপুর, পঞ্চগড়ের কিসমত, ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া, পাবনার ভাঙ্গুড়া, মুলাডুলি, এবং বড়াল সেতু, বগুড়ার ভেলুরপাড়া, গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা এবং জয়পুরহাটের স্পুরের উকেলাপ, ফুলতলা স্টেশন এলাকা।
আইন অনুযায়ী, পাথর নিক্ষেপের শাস্তি দশ হাজার টাকা জরিমানা থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে সাজা দেওয়া হয়নি।
রেলমন্ত্রী বলেন, ১৮৫৩ সালে ট্রেন চালুর পর থেকে উপমহাদেশে পাথর নিক্ষেপ ঘটছে। উন্নত দেশগুলোতে এই অপকর্ম হচ্ছে। কিন্তু এখন সমস্যাটি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ট্রেনের গার্ড, কর্মী এবং যাত্রীরা আহত হন। চোখ হারিয়েছেন এবং মৃত্যুও হয়েছে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, পাথর মারলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। যাইহোক, এখন পর্যন্ত যারা পাথর নিক্ষেপ করেছে তারা শিশু, ভবঘুরে বা অপ্রাকৃত। ফলে কাউকে শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রয়োজন।
রেল দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “আগেও হয়তো দুর্নীতি হয়েছে। তবে রেল এখনও ধোয়া তুলসীপাতা নয়। দুর্নীতিমুক্ত রেলওয়ে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। সাংবাদিকদের কাছ থেকে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ী ব্যক্তিরা অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রেল সচিব সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।