শাহপরী দ্বীপের সীমান্তে গোলাগুলির বিকট শব্দ, এলাকায় আতঙ্ক

0

Description of image

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরী দ্বীপে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০-১২ বার এই শব্দ শোনা গেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, এই শব্দ মর্টার শেল থেকে হতে পারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের ভেতরে সীমান্ত এলাকায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চলছে। ফলে মাঝেমধ্যেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তের বাসিন্দারা যাতে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতে না পারে সেজন্য কাজ করছেন। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিও সতর্ক রয়েছে।

এছাড়া বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের নাজির পাড়া থেকে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকজন ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন বলে জানান। নাফ নদী ও সাগর বেষ্টিত এ ইউনিয়নে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। এদের একটি বড় অংশের বসবাস নাফ নদীর তীরে।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, টেকনাফের নাজির পাড়া ও শাহপরী দ্বীপের ওপারে মিয়ানমারের পটংজা পাড়া ও মগনি পাড়া রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আবারও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা। কারণ, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এই এলাকা দিয়ে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে।

সীমান্তবর্তী নাজির পাড়ার বাসিন্দা মো. এনাম বলেন, “মায়ানমার থেকে সীমান্তের ওপার থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে। সীমান্তে বিজিবি টহল দিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হতে বলা হয়েছে।

শাহপরী দ্বীপের নাফ নদীর পাড়ের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, “বিকালে নাফ নদীর বাঁধে বসেছিলাম। হঠাৎ মায়ানমার সীমান্তে বিকট গুলির শব্দ শুনতে পাই। ভয়ে নারী ও শিশুরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। পরে বুঝলাম ওপাশ থেকে সংঘর্ষের আওয়াজ আসছে।আওয়াজটা অন্তত ১০-১২ বার শোনা গেছে।এখানকার মানুষ বলছে রোহিঙ্গারা আবার আসতে পারে।

তবে নতুন কোনো রোহিঙ্গাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে টেকনাফ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্তের কাছাকাছি যেসব এলাকায় গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে সেসব এলাকার বাসিন্দাদের খোঁজ খবর রাখছি। বাসিন্দাদের একটি তালিকা যাতে পরিস্থিতি বুঝতে এবং ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়।

শাহপরীর দ্বীপ ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, বিকেলে এলাকার লোকজন বিকট শব্দ শুনে সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।

গত দেড় মাস ধরে তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। তবে গত দুই দিন ধরে বড় গুলির শব্দ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আলম।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।