সব দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার স্বার্থে সব দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ড. শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, রাজপথে সংঘাত-সহিংসতার পরিবর্তে সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলা উচিত; নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমরা সংসদে সব দলকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন।
‘শুভ জন্মদিন তিমির হওয়ান নেত্রী’ শীর্ষক সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ ব্যানার্জি। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান।
মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ, জাতীয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক সাদেকা হালিম, ড.উত্তম বড়ুয়া, ডা.চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক বিমান বড়ুয়া, সিনিয়র সাংবাদিক শরীফুল ইসলাম প্রমুখ। সাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মাহবুবুর রহমান বাবু, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ নাম শুনলেই বোঝা যায় আমাদের কী করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পরিবারে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বেড়ে উঠেছেন। কারণ জানতে হলে আগে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা তার কন্যার মধ্যে বেড়ে উঠেছে বলেই শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে পেরেছেন; বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন। তিনি বলেন, এ দেশ সব ধর্মের মানুষকে স্বাধীন করেছে। তাই ধর্মান্ধতার মোহ থেকে মুক্ত হতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনীর সীমাহীন আনন্দ দেখেছি। খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি; তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। দেশকে অন্ধকারে নিয়ে গেছে। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু সেই অন্ধকার দূর করেন। তিনি শুধু দলের দিকনির্দেশনাই নেননি, জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, ৭১ সালের পরাজিত শক্তি এখনো সক্রিয়। তারা দেশের ভেতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের পথ যাতে রুদ্ধ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকের শুরুতে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ ব্যানার্জী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিমির হ্যাননের নেতা হিসেবে অভিহিত করার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।