সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ

0

দীর্ঘ ছুটি ও করোনার কারণে পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এখন থেকে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মূল্যায়ন করে মনিটরিং করা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের পাঠদান কৌশল ও ফলাফলের ওপর নিয়মিত নজরদারি বাড়ানো হবে।

সূত্র জানায়, শিক্ষকদের ‘শিক্ষার মান’ ও ‘দক্ষতা’ যাচাই করতে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিশ্র মোড (ভার্চুয়াল ও সরাসরি) মনিটরিং চালু করা হয়েছে। এবং অবিলম্বে প্রতিবেদনটি পূরণ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ‘আলম্বিকতা’, ‘অনিয়ম’, ‘অনুমোদিত অনুপস্থিতি’ এবং ‘অদক্ষতার’ ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক নোটিশ জারি করা হবে। মান ও দক্ষতা যাচাই করে ইতোমধ্যে কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠন ও লেখালেখির দক্ষতা যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার আওতায় আনার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের শ্রেণীকক্ষ কর্মক্ষমতা তত্ত্বাবধান।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে মিশ্র পদ্ধতি পরিদর্শনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রকৃত উপস্থিতি যাচাই করা হবে এবং শিক্ষকদের সংখ্যা ও উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। এবং ক্লাস ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের লেখা, পড়া এবং গণিত দক্ষতা যাচাই করা হবে। এ ছাড়া পাঠ্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষকের ধারণা, শিক্ষকের বিষয় জ্ঞান এবং শিক্ষক নিজে ক্লাসে শেখানো বিষয় পড়েছেন বা আত্মসাৎ করেছেন কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। শিক্ষকদের পাঠদানের দক্ষতাও দেখা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষক ক্লাসের পাঠ্যবই ঠিকমতো পড়েছেন ও বুঝেছেন কি না, তাও পরিদর্শনে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

আমিনুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, মেয়াদ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া পরিদর্শন করা বিদ্যালয়ের সার্বিক মূল্যায়ন করা হবে।

এতে পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিকল্পিত পাঠদান, শেখার উপকরণের ব্যবহার, শিক্ষক-ছাত্র-অভিভাবক সম্পর্ক এবং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরো জানায়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির বেশ কিছু অর্থ রয়েছে যেমন- নিম্নমান, বর্তমান মানের নিচে, বর্তমান মান, ভালো এবং অসামান্য; এই ৫ বিভাগে সংগঠিত. অন্যদিকে, ছাত্র সংখ্যা, উপস্থিতি, পারস্পরিক দূরত্বের ভিত্তিতে বিদ্যালয় একীকরণ কার্যক্রম এবং এক শিফটে বিদ্যালয় পরিচালনার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *