স্টিল কনফারেন্সে জহিরুল ইসলাম।জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের গুরুত্ব বাড়ছে
শিপব্রেকিং শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে উল্লেখ করে পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু বলেন, সারা বিশ্বে যে পরিমাণ জাহাজ রিসাইকেল করা হয়েছে; এর ৪৪ শতাংশই বাংলাদেশে হচ্ছে। টানা পাঁচবার জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বরে। উন্নত ইয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। গ্রিন শিপইয়ার্ড গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ এ শিল্পে এগিয়ে থাকলেও অনেক পুরনো পরিবেশ তুলে ধরা হচ্ছে। বিশ্বমানের শিপইয়ার্ডের উন্নয়নের কারণে প্রথম স্থানে থাকা। এ শিল্প নিয়ে ইতিবাচক আলোচনায় এগিয়ে আসা উচিত।
বুধবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু বে-ভিউতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ইস্পাত সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী দিনে তিনি গ্লোবাল শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলেন। ভারতের স্টিলমিন্ট ও বাংলাদেশের আহমেদ এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলার সমুদ্র উপকূলে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। পিএইচপি শিপব্রেকিং এবং
রিসাইক্লিং শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্রিন শিপ ইয়ার্ডের যাত্রা শুরু হয়। এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন জহিরুল ইসলাম।
এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা চারটি অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। সেশনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প ও আধুনিক বিপণন নীতির ওপর বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও এই শিল্পের উপর বেশ কিছু মূল্যবান প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
আমেরিকা, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তাইওয়ান, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ প্রায় ৩২টি দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেন। পিএইচপি ফ্যামিলি, বিএসআরএম, কেওয়াই স্টিল, এস আলম, এইচএম স্টিল, টিকে স্টিল, আনোয়ার ইস্পাত, সালাম স্টিল, জেডএসআরএমসহ দেশের স্বনামধন্য কোম্পানি অংশ নেয়। বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ভারতের টাটা গ্রুপ, রাঘব প্রোডাক্টস, জাপানের মিৎসুই, কোরিয়ার কোবে স্টিল, হুন্ডাই স্টিল, জার্মানির এসএমএস গ্রুপ, ইলেক্ট্রোথাম, ইন্ডাক্ট্রোথাম-এর মতো বিখ্যাত বিদেশি কোম্পানি সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। ৪২টি স্টলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেছে।