লবণ চাষে স্বল্প সুদে ঋণের সীমা বাড়ল
সরকারের সুদ ভর্তুকির আওতায় লবণ চাষে ৪ শতাংশ সুদে ঋণসীমা সাড়ে তিন গুণ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কৃষকরা এখন থেকে একর প্রতি ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। এখন পর্যন্ত প্রতি একর ঋণের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৪৪ হাজার টাকা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় লবণ চাষের জন্য ২০১০ সাল থেকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময়ে খরচ অনেক বেড়ে গেলেও ঋণসীমার কোনো পরিবর্তন হয়নি। দীর্ঘদিন পর সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে মজুরি ও জমি ভাড়ার ঋণসীমা। মজুরি ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
জমি ভাড়ার ঋণসীমা ২১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বাঁধ নির্মাণ ও অন্যান্য ব্যয় ৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১০ হাজার টাকা হয়েছে। পলিথিন কেনার দাম ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭ হাজার টাকা এবং পানি উত্তোলন খরচ ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, নিজের জমিতে লবণ চাষের ক্ষেত্রে টাইটেল ডিড এবং উৎপাদিত লবণের হাইপোথিকেশনের বিপরীতে ঋণ দিতে হবে। এক্ষেত্রে জমির ভাড়া প্রযোজ্য হবে না। বর্গক্ষেত্র চাষের ক্ষেত্রে, জমির মালিক বা স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে একটি শংসাপত্র প্রয়োজন হবে।