চার্লস তার প্রথম বক্তৃতায় তার মায়ের সেবা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন
চার্লস তৃতীয় যুক্তরাজ্যের নতুন রাজা হিসেবে পার্লামেন্টে তার প্রথম ভাষণ দেন। তিনি তার মা প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের নিবেদিত সেবা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
সোমবার ওয়েস্টমিনস্টার হলে চার্লসের বক্তৃতার সময় তার স্ত্রী ক্যামিলা উপস্থিত ছিলেন। সংসদের উভয় কক্ষ রানীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।
তার বক্তৃতায় রাজা তৃতীয় চার্লস বলেন, “জাতি ও জনগণের প্রতি রানির দীর্ঘমেয়াদী নিবেদিত সেবাকে স্মরণ করতে আমরা আজ একত্রিত হয়েছি।” তিনি অল্প বয়সেই দেশ ও মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। তিনি অদম্য আত্মত্যাগের সাথে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছিলেন। তিনি ঈশ্বরের সাহায্য এবং আপনার সঙ্গ দিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালনের একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন। আমিও সেই পথে চলার জন্য নিবেদিত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
চার্লসের বক্তৃতার শুরুতে ব্রিটিশ জাতীয় সঙ্গীত ‘গড সেভ দ্য কিং’ বাজানো হয়।
পার্লামেন্ট পরিদর্শন শেষে চার্লস স্কটল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। পরে সোমবার, রানীর কফিনটি স্কটিশ রাজধানী এডিনবার্গের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর সেন্ট জাইলস ক্যাথেড্রালে নিয়ে যাওয়া হবে। চার্লস সেই যাত্রায় যোগ দেবেন।
কফিনটি ক্যাথেড্রালে পৌঁছানোর পরে, রাজা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রানির জন্য একটি প্রার্থনা সেবায় যোগ দেবেন। এরপর সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানাতে ২৪ ঘণ্টা কফিন সেখানে রাখা হবে।
এদিকে রাজা হিসেবে নতুন পরিচিতি পেলেও মিডিয়ার মুগ্ধতা কয়েক দশক ধরেই চার্লসকে ঘিরে। বিশ্বের বিভিন্ন জাতি ও ধর্ম নিয়ে তার ভাবনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। রাজা চার্লসও বেশ কিছু অনুষ্ঠানে ইসলাম সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন। তিনি এই ধর্ম ও এর অনুসারীদেরও প্রশংসা করেছেন।
রাজা চার্লস মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরান অধ্যয়ন করেন এবং মুসলিম নেতাদের কাছে আরবিতে চিঠি লেখেন। রবার্ট জবসনের লেখা ‘চার্লস অ্যাট সেভেন্টি’ বইতেও বিষয়টি উঠে এসেছে।