নওগাঁয় আবার দেবে গেছে সেই আঞ্চলিক মহাসড়ক

0

নওগাঁ-সান্তাহার-রাণীনগর-আত্রাই-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছু অংশ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা রেলস্টেশনের কাছে প্রায় দুইশ ফুট রাস্তার পাটাতন করা হয়। সোমবার ওই স্থানের কাছে মহাসড়কের কিছু অংশ আবার দেবে যায়।

যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার আগেই রাস্তাটি বারবার এভাবে দেবে  যাওয়ায় এর স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। তবে সড়ক নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সড়ক বন্ধের কারণে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে সেগুলো স্থায়ীভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদার এবং এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০১ সালে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার নওগাঁর ঢাকা সড়ক থেকে সান্তাহার রেললাইন ধরে নাটোর পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। রাণীনগর-আত্রাই। ওই বছর মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়।

এরপর সরকার পরিবর্তন হলে নানা জটিলতায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে,২০১৮ সালের শেষের দিকে, একটি নতুন দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং রাস্তার কাজ পুনরায় শুরু হয়। নওগাঁয় সাড়ে ১৯ কিলোমিটার সড়ক ও ২৫টি ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে সব সেতু ও কালভার্টের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া সড়কটির পৃষ্ঠের কাজও প্রায় শেষের দিকে।

গত জুনে নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের শাহাগোলা রেলস্টেশনের কাছে ১৯০ ফুট পাকা রাস্তা প্রায় দুই ফুট গভীর হয়ে যায়। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। পরে সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

আত্রাইয়ের শাহাগোলা গ্রামের আব্দুল খালেক, মন্টু মিয়া, সাইম উদ্দিন জানান, সড়কে এখনো যান চলাচল শুরু হয়নি। স্থায়ীভাবে এ সমস্যার সমাধান না হলে সড়কটি টেকসই হবে না। এ বিষয়ে ঠিকাদার হারুন-অর-রশিদ বলেন, এরই মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল পরিদর্শন করেছে। সড়কটি টেকসই করতে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নওগাঁ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান জানান, খবর শুনে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রাস্তা নির্মাণের সময় অনেক জায়গায় সারফেস উঁচু হওয়ার কারণে এই সমস্যা হয়। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *