প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনলেন ট্রাস

0

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল আনেন তিনি। ট্রাসের নতুন মন্ত্রিসভায় তার অনেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী রয়েছে। দেশের অনেক প্রভাবশালী নেতা আবারও মন্ত্রীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।

মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেন ট্রাস। সে সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ট্রাসকে নতুন সরকার গঠনের অনুমোদন দেন। রানীর ৭০ বছরের শাসনামলে ট্রাস ১৬ তম প্রধানমন্ত্রী হন।

নতুন ট্রাস্ট মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন কোয়াসি কোয়ার্টেং। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেমস ক্লেভারলি। সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মিশেল ডোনেলানকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ট্রাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু থেরেসি কফি যুক্তরাজ্যের নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য সদ্য ঘোষিত মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। তাদের একজন সাবেক বিচারমন্ত্রী ডমিনিক রাব। সাবেক পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলি নতুন মন্ত্রীদের তালিকায় নেই।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সাবেক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। কেমি ব্যাডেনোচ হলেন নতুন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী। ক্লোই স্মিথ কর্ম ও পেনশন মন্ত্রী হন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন কিথ মাল্টহাউস।

দীর্ঘদিনের ট্রাস সমর্থক জ্যাকব রিস – মগ – ব্যবসা, জ্বালানি এবং শিল্প মন্ত্রী হন। সাইমন ক্লার্ক লেভেলিং আপ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন। আর অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ানকে পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে নতুন মন্ত্রিসভায় পরিবেশমন্ত্রী হয়েছেন রনিল জয়াবর্ধনে। ব্র্যান্ডন লুইসকে বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নাদিম জাহাবি অর্থমন্ত্রীর পদ ছেড়ে আন্তঃসরকার সম্পর্ক ও সমতা বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন। বেন ওয়ালেস গতবারের মতোই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ধরে রেখেছেন।

ক্রিস হিটন-হ্যারিস উত্তর আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী হন-মন্ত্রিসভায় অন্যদের মধ্যে। অ্যালিস্টার জ্যাক এবং রবার্ট বাকল্যান্ড যথাক্রমে স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) অফিস ছাড়াই চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী হয়েছেন জেক বেরি। লর্ড ট্রু অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। অলোক শর্মা মন্ত্রিসভায় কপ -২৬-এর সভাপতি হিসাবে তার পদ বজায় রেখেছেন।

টোরি নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে পরাজিত করে গত সোমবার ট্রাস দলের নেতা হন। ট্রাসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬ জন এবং সুনাককে ভোট দিয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯ জন টরি সদস্য। এটি ট্রাসের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ পরিষ্কার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *