স্বাস্থ্য দফতরের অভিযান: তিন দিনে ৭০০ হাসপাতালে তালা
বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত করতে অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে গত তিন দিনে প্রায় সাত শতাধিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে নিবন্ধন নবায়ন না করা ও আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ টাকার বেশি জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রায় সাত শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্থাপনা, ১৬৯টি বন্ধ করা হয়েছে। এরপর ঢাকা বিভাগে ১৫৮, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫৪, রাজশাহী বিভাগে ৮১, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০০, রংপুর বিভাগে ২৪, বরিশালে ১৩এবং সিলেটে মাত্র একটি।
এদিকে জরিমানা আদায়ে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এ বিভাগে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এরপর ঢাকা বিভাগে ১ লাখ, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ১৭ হাজার, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ও রংপুরে ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসহ ঢাকা মহানগরীতে কোনো জরিমানা আদায় হয়নি।
এর আগে গত ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ৩০ মে প্রথম দফায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এ সময় ১ হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত সোমবার দ্বিতীয় দফায় সপ্তাহব্যাপী অভিযান শুরু করে সরকার। এ নিয়ে গত তিন মাসে বন্ধ হয়েছে দুই হাজার ৪১১টি প্রতিষ্ঠান।
স্বাস্থ্য হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, “আমরা পরিষ্কার, অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য আমাদের নিবন্ধন করতে হবে। যারা অবৈধভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।