কূটনৈতিক শিষ্টাচার।দূতাবাসগুলি বলছে অংশীদারদের সাথে বৈঠক দায়িত্বের অংশ

0

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় পশ্চিমাঞ্চলীয় দূতাবাসগুলোকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠানোর পর এসব দেশের কূটনীতিকরাও স্পষ্টতই কঠোর অবস্থান নেন। ১৮ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকার সব বিদেশী মিশনকে কূটনৈতিক শিষ্টাচারের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই চিঠির পর পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতরা স্বাগতিক দেশে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে টুইট করেছেন।

কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বিষয়টি মনে করিয়ে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন আমরা কয়েকদিন পর পরই দিই। কারণ অনেক পরিবর্তন হয়। এ জন্য তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এটা সারা বিশ্বে ঘটে।’

গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তারা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে সরকার সমালোচনা করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন জাতিসংঘের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কূটনৈতিক মিশনকে চিঠি দেয়।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রাওস্টার তার ভেরিফায়েড টুইটারে লিখেছেন, ‘কূটনীতিকদের প্রধান কাজ হলো স্বাগত দেশের রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সহকর্মীদের ভালো বৈঠক হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য বন্ধু ও অংশীদার।

একই দিনে আরেকটি টুইটে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বলেছেন, “কূটনীতিকরা আয়োজক দেশের পরিস্থিতি এবং উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে যতটা সম্ভব অংশীদারদের সাথে দেখা করতে চান।” ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার ‘ভালো বৈঠক’ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছিল, সম্প্রতি কিছু ঘটনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। এ কারণে ঢাকায় অবস্থিত মিশনগুলো সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তিদের সম্পর্কে জাতিসংঘের ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কূটনীতিকদের দলগতভাবে নির্বাচন কমিশনে যাওয়া এবং সংশ্লিষ্টদের না জানিয়ে ঢাকার বাইরে কয়েকজন কূটনীতিক সফরের বিষয়ে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। না জানিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়া নিরাপত্তার সমস্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *