খাস সংগ্রহে ১৪টি হাটে । রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

0

বাঞ্ছারামপুরের ইউএনওর বিরুদ্ধে ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা ছাড়াই খাস আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় কয়েকজন হাট বসিয়ে চাঁদা আদায় করছেন। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এছাড়া ৮-১০টি অবৈধ পশুর বাজার থাকলেও প্রশাসন নীরব। তবে অফিস সহকারী জাকির হোসেন অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা নিতে টেন্ডার কিনতে ইউএনও অফিসে গেলেও কাউকে টেন্ডার দেননি বলে অভিযোগ করেন অনেকে।

অফিস সহকারী জাকির হোসেন জানান, এবার ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খাস সংগ্রহের মাধ্যমে হাট বসানো হয়েছে। বাজার থেকে খাস আদায়ের টাকা আদায় করছেন ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা (নায়েব)। তবে একাধিক নায়েব অর্থ অস্বীকার করেছেন।

তিনজন নায়েব জানান, খাস সংগ্রহের বিষয়ে তাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তারা বাজারে ছিল। কিন্তু কোনো টাকা আদায় করেননি। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় কয়েকজন নেতা তাদের লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। আর অনেকে ইউএনও অফিসে গিয়েও টেন্ডার কিনতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে জাকির বলেন, এরই মধ্যে টেন্ডারের সময় আগেই শেষ।

অস্থায়ী পশুর হাটগুলো হলো- তেজখালী ইউনিয়নের হানারপাড়, পাহাড়িয়াকান্দি ইউপির পাশের মাঠ, বাগেরহাটের দরিয়াদৌলত উত্তরপাড়া, সোনারামপুর বাজার মাঠ, দড়িকান্দি আসমাতুন্নেছা স্কুল মাঠ, ছাইফুল্লাহকান্দির শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, সদরের নাথারের আছুব। , ফরদাবাদের পূর্বহাটি গাবতলী বাজার, রূপসদীর দক্ষিণ বাজার মাঠ, ছলিমাবাদের ভুরভুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও ছালিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, উজানচর কেএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, মানিকপুরের বাহেরচর পুরাতন বাজার বালুচর মাঠ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলায় ১০-১২টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয়। এ সময় সরকার ইজারা থেকে রাজস্ব পেয়েছিল ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু এবার হাটগুলো ইজারা ছাড়াই খাস সংগ্রহের নামে এলাকাবাসীর মধ্যে ভাগ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই ব্যক্তি দাবি করেন, ইউএনও সিএ জাকির হোসেন তাদের কাছে টেন্ডার বিক্রি করেননি। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন দরপত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভূমি কর্মকর্তা জানান, ধারিয়ারচরের নুরুল ইসলাম কলেজ মাঠে গরুর হাট বসছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম অস্থায়ী বাজারের আহ্বান জানিয়েছেন।

তার মতে, ইউএনও নিজেই আওয়ামী লীগ নেতাকে বাজারজাত করেছেন। তবে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজ মাঠে আমার অস্থায়ী পশুর হাট ছিল। আমি কেন বাজারের ডাক পাবো? কে বাজার ডাক এনেছে জানি না। যারা ইজারা পেয়েছেন তাদের জিজ্ঞেস করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একী মিত্র চাকমা জানান, অস্থায়ী পশুর হাট যথাসময়ে অনুমোদন না হওয়ায় খাস সংগ্রহ করতে হচ্ছে। শিডিউল কিনতে তাদের কাছে কেউ যায়নি। অনুমোদন ছাড়া হাট বসানোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *