সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি দায়িত্বও প্রয়োজন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মধ্যে বাংলাদেশ অনুদান কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যাণ অনুদান ও দ্বিতীয় পর্যায়ের সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমের দায়িত্ব নিয়ে একটি উদাহরণ দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. কিন্তু সত্য হলো, আইরিন খান যেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তার মতো আরও ৮০ জন জাতিসংঘ-অধিভুক্ত র্যাপোর্টার রয়েছেন। যদি একটি প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্র সেই ৮০ জনের একজনকে নিয়ে লিখে “জাতিসংঘের উদ্বেগ” প্রকাশ করে, তাহলে সেটা কি সাংবাদিকতা না অসাংবাদিকতা?
“আমাদের দেশে এই ভুল উপস্থাপনের জন্য আমাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না, মহাদেশীয় ইউরোপ, যুক্তরাজ্যে এই ধরনের সংবাদ কভার করার জন্য আমাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না, সেখানে আমাদের নিয়মিত জরিমানা দিতে হবে, যা এমন নয়। আমাদের দেশে,” তিনি বলেন।
তিনি আরও বলেন, সমালোচনা থাকবেই, কারণ তিনি দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা থাকবেই। যারা দায়িত্বে নেই তাদের সমালোচনা করার সুযোগ নেই। তবে সমালোচনা হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ।
ডাঃ হাসান বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আজ সাংবাদিক সমাজে একটি বিশ্বস্ত স্থানে পরিণত হয়েছে। আর ট্রাস্ট থেকে শুরু করে সকলের সহযোগিতা বিবেচনা করা হয়। যে সব সাংবাদিক নিয়মিত সরকারের বিরুদ্ধে লেখেন, অকারণে লেখেন, লিখিতভাবে হয়রানির শিকার হন, এমনকি সরকার পতনের জন্য প্রেসক্লাবের সামনে বা অন্য কোথাও বক্তৃতা দেন, আমরা তাদের এই সমর্থন দিয়েছি এবং দিচ্ছি।
প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেনসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শেষে মন্ত্রী ও অতিথিরা সাংবাদিকদের মাঝে চেক বিতরণ করেন।