করোনাভাইরাস।জুন মাসে মারা যাওয়া রোগীদের ৩৩% টিকা নেননি

0

তিন মাস ‘বোতলবন্ধি’ থাকার পর, জুনের শুরু থেকে করোনা উল্টো মোড় নিয়েছে। গত ৬ জুন নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৫ শতাংশের বেশি। দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ হয় ২৯ জুন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রাদুর্ভাবের পরে ১ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১৭ জন মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনা করেছে। পরিসংখ্যান দেখায় যে মৃত রোগীদের ৩৩ শতাংশ টিকা নেননি। এবং ৭০ শতাংশ বুস্টার ডোজ পাননি। মৃতদের বয়স ৫০থেকে ৭০ বছর। তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি অন্য কোনো রোগে ভুগছিলেন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তরঙ্গের সময়ও এ ধরনের ছবি দেখা গেছে। তখন দেশে ভ্যাকসিন সংকট থাকলেও এখন আর ঘাটতি নেই। ফলে এমন তথ্য এই সময়ে উদ্বেগজনক। ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা খুঁজে বের করা এবং দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও তথ্যটিকে হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. শামসুল হক বলেন, সরকার দ্রুত টিকা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। মাঝেমধ্যে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে। টিকা কেন্দ্র সবসময় খোলা আছে। প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ এখনও দেওয়া হচ্ছে।

গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত এক মাসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ টিকা নেননি। পাঁচজন টিকা মধ্যে দুজন এক ডোজ এবং তিনজন দুটি ডোজ নিয়েছেন। মৃত ১০ জনের মধ্যে দুই বা তার বেশি সহ-অসুস্থতা ছিল। সহ-অসুস্থতার সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় ০.৫ শতাংশ বেশি ছিল। মৃতদের পঞ্চাশ শতাংশের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও বলছে, সারাদেশে টিকা নিতে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮৫ জন। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১০৮ শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ ১০০ শতাংশ। তবে ২৪.৩৩ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছয়জনের মৃত্যুর সাথে দেশে ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯,১৬০। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ছয়জনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী। এদের মধ্যে তিনজন ঢাকার, দুজন চট্টগ্রামের এবং একজন ময়মনসিংহের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *