রাখাইনে গণহত্যা।আর্জেন্টিনার আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছেন রোহিঙ্গা নারীরা

0

Description of image

বুয়েনস আইরেসের একটি আদালতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় সাক্ষ্য দিতে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের একটি দল আর্জেন্টিনা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গারা এর আগেও অনলাইনে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আর্জেন্টিনার আদালতে সার্বজনীন ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে মামলা পরিচালনার ইতিহাস রয়েছে। এই আইনগত ধারণা বিশ্বাস করে যে গণহত্যা সহ কিছু জঘন্য অপরাধের বিচার যেকোনো দেশে করা যেতে পারে।

বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকে (BROUK) এর প্রেসিডেন্ট তুন খিন বলেছেন, নারী ও মেয়েরা সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারে। সেই সাক্ষ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুনানির জন্য বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে তাদের বুয়েনস আইরেসের একটি আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। তারা প্রথমবারের মতো উপস্থিত হবে এবং পাঁচ বছর আগে উত্তর রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার বর্ণনা দেবে।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য রাখাইনে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ৩৭০টিরও বেশি রোহিঙ্গা গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী সে সময় হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করে।

জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ড গণহত্যার সমান। সে সময় গণহত্যা থেকে বাঁচতে ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।