যাবিপ্রবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে  প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ

0

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিজানুর রহমান যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ। তিনি দাবি করেন, প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও আজিজের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় তিনি তাদের থামাতে এগিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছিল। তিনিও এতে অংশ নেন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত আজিজ তাকে এসব কথা বলেন। ইকবাল কবির জাহিদ স্যার আপনাকে ডাকছেন। একথা শুনে সে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। ইকবাল কবির জাহিদকে একাডেমিক ভবনের পশ্চিম পাশের সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে দেন। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার কানে চড় মারে। তখন আজিজ আমাকে থাপ্পড় মেরে অপমান করে। এ সময় তিনি আমাকে হত্যার হুমকিও দেন।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, রাজশাহীর একজন ঠিকাদার বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেটর সরবরাহ করে। কোম্পানির ১৮ লাখ টাকার (বিল) প্রকল্পের বিপরীতে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার একটি জামানত রাখা হয়েছিল। বহিষ্কৃত ছাত্র আজিজকে নিরাপত্তার টাকা দিতে চাপ দিচ্ছিল ঠিকাদার। ইকবাল কবির জাহিদ। ডাঃ জাহিদ তাকে একাধিকবার সুপারিশ করেন। কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়া (কাগজপত্র) ছাড়া টাকা দিতে রাজি হননি। এ কারণে তারা তার ওপর ক্ষুব্ধ।

তবে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের অভিযোগ সঠিক নয়। মিজানুর ও আজিজের কথা কাটাকাটি হয়। আমি তাদের থামাতে এগিয়ে গেলাম।

তিনি আরও দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারির সাউন্ড সিস্টেমের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন ড. জাহিদ। ওই প্রতিবেদনে প্রকৌশলী মিজানুর রহমানকে আসামি করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় তার ওপর ক্ষুব্ধ হন প্রকৌশলী মিজান। এজন্য তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *