পদ্মা সেতু নিয়ে তারা খুশি
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে শনিবার। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এখানেও খেলাধুলার ঢেউ। বিশেষ করে দক্ষিণের ক্রীড়াবিদরা আনন্দিত।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন: খেলাধুলায় যে কোনো বিজয় উদযাপনের মতোই পুরো জাতি অপেক্ষা করছে আরেকটি উৎসবের। সেটি হলো পদ্মা সেতু। তবে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। শুধু আমাদের দেশের মানুষ নয়, আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি, ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রেও এই পদ্মা সেতু একটি বড় মাইলফলক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা অবশ্যই গর্বিত।
বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন: এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় অর্জন। প্রধানমন্ত্রী তা ভেবেছেন এবং বাস্তবায়ন করেছেন। আমাকে এমন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। এর আগেও অনেক পরীক্ষা দিয়েছেন; শেখ হাসিনার মতো প্রধানমন্ত্রী পেয়ে আমরা বাঙালি হিসেবে গর্বিত।
মেহেদী হাসান মিরাজ (খুলনা), জাতীয় দলের ক্রিকেটার: পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে, এটা আমাদের সবার জন্য সুখবর। যেহেতু আমরা পদ্মার ওপারে থাকি তাই খুলনা-বরিশালের প্রতিটি মানুষ উপকৃত হয়েছে। বিশেষ করে আমরা যখন দেখি, ঈদে বাড়ি ফেরার পথে ফেরি টার্মিনালে প্রচুর যানজট থাকে, নানা অসুবিধা হয়। এখন আপনাকে এটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
ঈদের সময় চাপ থাকে বেশি। আমার মনে আছে একবার আমি খুলনা যেতে ১৪ ঘন্টা জ্যামে ছিলাম। এখন পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি। হয়তো সেই সময় আর লাগবে না, খুব তাড়াতাড়ি যেতে পারব।
ইমরুল কায়েস (মেহেরপুর), জাতীয় দলের ক্রিকেটার: বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য এটা স্বপ্নের সময়। ছোটবেলা থেকেই আমরা পদ্মা পার হয়ে ঢাকায় এসেছি। আমরা সাধারণত ৩-৪ ঘন্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করি। এটা খুব কঠিন ছিল. এখন পদ্মা সেতুর কারণে এখান থেকে মুক্তি পেয়েছি। অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ আমাদের এত সুন্দর একটি সেতু উপহার দেওয়ার জন্য।
‘বাসে যাতায়াত করলে দেখতাম সকালে ঢাকা থেকে গাড়ি ছাড়ে, পরের দিন দুপুরে বাড়ি চলে যাই। আরিচা ঘাটে ঈদের আগে ৫-৬ ঘণ্টা লাগতো। এখন আমি এখান থেকে মুক্ত। যে সময় নষ্ট হয়েছে তা এখন পরিবারকে দিয়ে দ্রুত বাড়ি যেতে পারব।
ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও আমার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে; কিন্তু সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারায় সভায় যোগ দিতে পারিনি। আমরা একটি সময় বজায় রাখার চেষ্টা করি। হয়তো সকালে রওনা দেবার পরিকল্পনা ছিল, ফেরিতে হয়তো ঘণ্টাখানেক; তবে মাঝে মাঝে দেখা যেত ফেরি যেতে ৪-৫ ঘণ্টা লাগত। এভাবে অনেকবার টিম মিটিং মিস করেছি। আসলে এটা আমার নয়, অনেকেরই হয়েছে। কারণ তিনি সকালে কাজে বেরিয়েছিলেন, তিনি দেখেন যে ফেরিতে ৩-৪ ঘন্টা লেগেছে, যে কারণে তিনি সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেননি। আশা করি ঈদে পদ্মা সেতু পার হব।
‘ঈদে সবাই বাড়ি যেতে চায়। বাড়িতে যাওয়া সবার জন্য আনন্দের। কিন্তু অনেক সময় আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আরিচা ঘাটে ফেরি যাওয়ায় দেরি হয়ে গেল। এখন আর বাড়ি যেতে দ্বিধা করতে হবে না। ‘
সৌম্য সরকার (সাতক্ষীরা) ক্রিকেটার: সুবিধা অবশ্যই আছে। আগে যেতে অনেক সময় লাগতো, এখন সময় কম লাগবে। আর নিজের টাকায় নির্মিত সেতু নিঃসন্দেহে একটি বড় অর্জন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
রুবেল হোসেন (বাগেরহাট) ক্রিকেটার: এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। আমরা যারা দক্ষিণে বাস করি তাদের জন্য এই সেতুটি অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল। এর পুরো কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে কতটা উপহার দিয়েছে তা বলা যাবে না। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। আসলে এটা আমাদের জন্য স্বপ্নের সেতু।
ইমন মাহমুদ বাবু (শরীয়তপুর) ফুটবলার: ফেরি বা লঞ্চে আপনাকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। শারীরিক ও মানসিক অশান্তি আছে। এখন এটা হতে হবে না. পদ্মা সেতু দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়া যায়। এতে ব্যথা অনেকটাই উপশম হবে। আমার বাড়ি শরীয়তপুরে। এই সেতুটি আমাদের কতটা উপকৃত হবে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
রোমান সানা (সাতক্ষীরা) তীরন্দাজ : কত ঘণ্টা জ্যামে ছিলাম তার কোনো হিসাব নেই। সেদিক থেকে পদ্মা সেতুর ফল আমরা নানাভাবে উপভোগ করতে পারি। আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
সাবিনা খাতুন (সাতক্ষীরা), জাতীয় মহিলা ফুটবল অধিনায়ক : অবশেষে উদ্বোধন করা হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এই সেতুটি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। কারণ আগে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা যেতে ৮-১০ ঘণ্টা লাগতো। এখন চার-পাঁচ ঘণ্টা বাঁচবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ।
জাতীয় কাবাডি দলের অধিনায়ক এম এ আরদুজ্জামান মুন্সী (বাগেরহাট) : স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। আমাদের জন্য এর চেয়ে ভালো খবর আর হতে পারে না। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। এর আগে ঢাকায় আসতে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ঈদে অনেক বিপদে পড়তে হয়েছে।