নৌবাহিনীর ১১০ জন সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেয়েছেন

0

লেবাননের বৈরুতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১১০ জন সদস্য শান্তিরক্ষা পদকে ভূষিত হয়েছেন। লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনীর (ইউএনআইএফআইএল) মেরিটাইম টাস্ক ফোর্সের (এমটিএফ) কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আন্দ্রেস মুঘে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ নৌযান ‘সংগ্রাম’ এর কর্মকর্তা ও নাবিকদের পদক উপহার দেন।

সোমবার আন্ত -বাহিনী জনসংযোগের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর-এর জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লেবাননের নৌবাহিনীর প্রধান কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান এবং লেবাননের বৈরুতে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

পদক কুচকাওয়াজের সময়, এমটিএফ কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আন্দ্রেয়াস মুগে মিশন সফলভাবে পরিচালনার জন্য লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন নৌবাহিনীর সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। তিনি নৌ কর্মীদের তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রক্রিয়ায় নি :স্বার্থ ও নিবেদিত অবদানের জন্য প্রশংসা করেন। বিশ্বব্যাপী মহামারী কোভিড -১৯ এর বর্তমান প্রাদুর্ভাবের কারণে, তিনি বিশেষ স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রেখে প্রত্যেককে তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ২০১০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিবেদিত প্রচেষ্টায় লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূমধ্যসাগরে বহুজাতিক মেরিটাইম টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত। বর্তমানে মোতায়েন করা ‘সংগ্রাম’ যুদ্ধজাহাজ লেবাননের ভূখণ্ডে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দক্ষতার সাথে কাজ করছে।

এছাড়াও, যুদ্ধজাহাজ লেবাননের জলে সমুদ্র নিরোধক অভিযান পরিচালনা করছে, সন্দেহজনক জাহাজ ও বিমানের নজরদারি, ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজে উদ্ধার অভিযান এবং লেবাননের নৌ কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। লেবাননে মোতায়েনের পর গত ১১ বছর ধরে, নৌবাহিনী আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করছে। নৌবাহিনীর এই গর্বিত অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *