আজ থেকে রাত ৮টার পর দোকানপাট মার্কেট বন্ধ
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান জানান, সোমবার রাত ৮টা থেকে সারাদেশে দোকানপাট, শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শ্রম, বিদ্যুৎ, শিল্প প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর ও দক্ষিণ, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, ঢাকা চেম্বার এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। শ্রমিকদের সংগঠন।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগেই রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার থেকে তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে আমরা সবাই একমত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা আমাদের আইনেও আছে, আগামীকাল (আজ) থেকে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে। তারা (ব্যবসায়িক প্রতিনিধি) দাবি করেছেন। ঈদুল আজহা ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আমরা এই প্রস্তাবটি সারসংক্ষেপ আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাব।
আইন অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহসানে এলাহী। ডক, জেটি, স্টেশন বা বিমানবন্দর এবং পরিবহন পরিষেবা টার্মিনাল অফিস; সবজি, মাছ, মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান; ওষুধ, অপারেটিং সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ বা চিকিৎসা সামগ্রীর দোকান; দাফন এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রির একটি দোকান; তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, সংবাদপত্র, পত্রিকা এবং খুচরা দোকান খুচরা, পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মোটর গাড়ি সার্ভিস স্টেশন মেরামত কারখানা নয়; নাপিত এবং হেয়ারড্রেসার; কোন পয়ঃনিষ্কাশন বা স্যানিটেশন; যে কোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যা মানুষকে জ্বালানি, আলো বা পানি সরবরাহ করে; ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকান, সিনেমা বা থিয়েটার এই নির্দেশিকা থেকে অব্যাহতি পাবে।
মুদি দোকানের ক্ষেত্রে কী হবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সচিব বলেন, আইনের নির্দেশের বাইরে বলা হয়েছে এমন দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে রাত ৮টার পর মুদি দোকান বন্ধ থাকবে।
১৭ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ড. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।