মিঠামইনে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিশোরগঞ্জের মিঠামিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। হাওর বেষ্টিত এ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মিঠামিন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ কামাল বলেন, উপজেলার ঘোরাউড়া নদীর তীরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পল্লীতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৫৯টি বাড়িও ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত তিন ফুট পানি বেড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মিঠামিন সদর ইউনিয়নের নবাবপুর, মিস্তা ও খিলাপাড়া নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, চমকপুর গ্রামের দক্ষিণের বেড়িবাঁধ ডুবে গেছে। ঘাগড়া, খালাপাড়া ও চমকপুরের কবরস্থানে পানি ঢুকে গেছে। ঘাগরা শ্মশানে জল ঢুকেছে। এছাড়া শিহারা, ধোবাজোড়া, দাইনগাঁও, সুলতানপুর, হাবিবপুর ও আলগাহাটি গ্রাম তলিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, বন্যায় ঘাগড়া বাজার থেকে চমকপুর মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
গত দুই দিনে কুড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেমন্তগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী সোমবার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
মিঠামিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিভিন্ন এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।