সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি: শরীরের পোড়া অঙ্গ এখনও মেলে, কখনও হাড়গোড়
চশমার কাচ বাঁকানো, ফ্রেমটি কঙ্কাল। মোবাইল ফোনেও আগুন। হয়তো মানুষটা বেঁচে নেই। শরীরের পোড়া অংশগুলো এখনো মিলে যাচ্ছে, কখনো হাড়গোড়। কার অঙ্গ, কার হাড়- চেনার উপায় নেই! অনেক স্বজন এখনো মনে করেন, ধ্বংসস্তূপের ভাঁজে লুকিয়ে আছে প্রিয়জন। এই পোড়া হাড়গুলো শনাক্ত করা গেলে দেহাবশেষ পেয়ে স্বজনদের বুকের ক্ষত কিছুটা হলেও উপশম হবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ১০ দিন পর সোমবার বিকেলে ধ্বংসস্তুপ সরানোর সময় হাড়গুলো দেখতে পায় পুলিশ। শনাক্তের জন্য হাড়গুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন বলেন, ডিপোতে পোড়া মালামালের স্তূপে কিছু হাড় পাওয়া গেছে। এগুলো একজনের না অন্যের তা অনুমান করা যায় না। এই হাড়ের মধ্যে পায়ের একটি অংশ আছে বলে মনে হচ্ছে। এগুলো ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরপর সংগৃহীত নমুনা সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।
৪ জুন রাত ৯টা ২৫ মিনিটে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ডিপোর কর্মকর্তাসহ দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। অনেক লাশ এখনো শনাক্ত করা যায়নি। লাশ শনাক্ত করতে স্বজনদের নমুনা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে আহতদের অনেকেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।