চাকরি গেল সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএসের

0

অবশেষে চাকরি হারাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক মনমোহন রঞ্জন বারাই (মনি)। দীর্ঘদিন সরকারের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে যোগদান না করে দেশের বাইরে থাকায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের এপিএস ছিলেন।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নোটিশে বলা হয়েছে যে তিনি অনুমতি ছাড়াই কাজে অনুপস্থিত ছিলেন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) অনুসারে ‘অসদাচরণ ও পলাতক’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।

পরে সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং দ্বিতীয় কারণ নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু ডাক বিভাগের খামে উত্তর আসে প্রাপক দেশে নেই।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারীর অনুমতি ছাড়া বিদেশে থাকার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক সকল পদক্ষেপ অনুসরণ করে তাকে বরখাস্ত করা হচ্ছে।

মনমথ বড়াইয়ের সহকর্মীরা জানান, মনোমথ রঞ্জন বারাই ২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয় মেয়াদে। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশ ছেড়েছেন দীপু মনি। নুরুল ইসলাম নাহিদ ২০০৯ সালে শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর টানা ৮ বছর তার এপিএস ছিলেন মনমোহন রঞ্জন বারাই। তখন শিক্ষা খাতে বদলি, পদায়নসহ সবকিছুই ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। নুরুল ইসলাম নাহিদ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তাকে পদ থেকে অপসারণ করেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মন্মথ রঞ্জন বারাইকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিদর্শক (কলেজ) পদ থেকে অপসারণ করে খুলনার বিএল কলেজে বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি কলেজে যাননি। এর অনেক আগেই তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোনো অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে ওই বছরের ১২ এপ্রিলের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দিতে বলে। তিনি এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *