ইনজুরিতে ইয়াসির, খেলা নিয়ে চিন্তিত
মুশফিকুর রহিমের ছুটির দিনটা ছিল ইয়াসির আলী রাব্বির জন্য দারুণ সুযোগ। তাকে লোয়ার মিডল অর্ডার থেকে পাঁচ নম্বরে উন্নীত করা যেত। ইনজুরির কারণে রাব্বির সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। তিন দিনে পিঠের ব্যথার উন্নতি না হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে পারবেন না তিনি।
সেক্ষেত্রে ভাগ্যের শিকল ভাঙবেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান বা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দুজনেই লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন। ব্যাটিং অর্ডারে লিটন কুমার দাস বা সাকিব আল হাসান পাঁচ-ছয় খেলতে পারতেন। সাত নম্বরে সোহান এগিয়ে থাকবেন মোসাদ্দেক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে লিটনের পর ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামেন রাব্বি। তিনি ৩৯ বলে ১১ রান করে স্বেচ্ছায় অবসর নেন (অবসরপ্রাপ্ত হৃদয়)। পিঠে ব্যথা অনুভব করায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
রবিবার উইন্ডিজের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল বলেছেন: ইনজুরির জায়গায় পেশী সংকোচনের কারণে খেলার অবস্থা নেই। পরীক্ষা শেষে ফিজিও বিশ্রাম দেন।
রাব্বিকে হোটেলে রেখে রোববার দলটি মাঠে নামে। টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যাটারের এমআরআই করার কথা। চোটের তীব্রতা খতিয়ে দেখা হবে এবং রাব্বি খেলবেন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এখনই আশা ছাড়ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। ধারণা পেশির টিআর বা হাড়ের সমস্যা না থাকলে ফিজিওথেরাপি দিয়ে সেরে উঠবেন। তবে সমস্যা ধরা পড়লে অ্যান্টিগা টেস্ট খেলতে পারবেন না রাব্বি।
টেস্টের ব্যাটিং অর্ডার একটু বড় রাখে বাংলাদেশ। সাকিব থাকলে ব্যাটিং লাইনআপ লম্বা হয় সাত নম্বর পর্যন্ত। তিন পেসারের সঙ্গে অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে সাজানো হবে বোলিং লাইনআপ। সাকিবের সঙ্গে টেস্টে সাত ব্যাটসম্যানসহ পাঁচ বোলারও পাবে বাংলাদেশ। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের চ্যালেঞ্জ তিন ফাস্ট বোলার বেছে নেওয়া।