কলাগাছ ধরে সাগর থেকে বেঁচে আসা ফিরোজ ১০ দিন পর বাড়ি ফিরলেন

0

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ পর্যটক ফিরোজ সিকদার দেশে ফিরেছেন। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা এলাকার বাসিন্দাকে মঙ্গলবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বেনাপোল পোর্ট পুলিশ। ভোরে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন ফিরোজ।

ফিরোজ জানান, গত ২৭ মে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটা যাওয়ার সময় ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান তিনি। কিছুক্ষণ ভেসে থাকার পর তিনি একটি কলাগাছ খুঁজে পেয়ে তা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার লড়াই করেন। তাকে ভারতীয় জেলেরা উদ্ধার করে পরদিন দেশটির নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। তারা তাকে চেন্নাই নিয়ে যায়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কলকাতা; অবশেষে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে তাকে প্রত্যাবাসন করা হয়।

তিনি ভারতে গিয়ে তার ভাই মাসুম সিকদারকে ফোন করে নিখোঁজের বিষয়ে একই কথা বলেন। যাইহোক, এই ব্যাখ্যা অনেকের কাছে সন্দেহজনক বলে মনে হয়। কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য শিকারী ট্রলার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরু মাঝি জানান, সাত-আট ঘণ্টা নোনা পানিতে ভাসলে তার চেহারা ও চামড়ার পরিবর্তন হত। অনেক সময় ত্বকে ফোস্কা পড়ে সাদা হয়ে যেতে পারে। ফিরোজের ক্ষেত্রে এর কিছুই দেখা যায়নি।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক ইলিয়াস জানান, ইমিগ্রেশনে আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি বলেন, ওপারের লোক তাকে দিয়ে গেছেন। বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিএম কামাল হোসেন জানান, দেশে প্রবেশের পর ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, ফিরোজ নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) আবুল কালাম আজাদ জানান, আজ রাত ৮টায় ফিরোজকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মহিপুর থানার এসআই আসাদ ঘটনার তদন্ত করছেন। পর্যটক নিখোঁজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিলে তা উঠে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *