হাইড্রোজেন পারক্সাইডের তথ্য কেন গোপন করল ডিপো কর্তৃপক্ষ?

0

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর বিস্ফোরণে পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

ডিপোর এক কোণে একটি টিনের চালার নিচে এই ধরনের দাহ্য রাসায়নিকের একাধিক পাত্র ছিল। এখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে এই রাসায়নিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ঘটনার সময় আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভবনের কাঁচ ভেঙে যায়। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিস্ফোরণ থেকে ৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, ডিপোতে প্রায় ২০ হাজার কনটেইনার ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি পাত্রে দাহ্য পদার্থ ছিল। বিস্ফোরণের ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

সিভিল সার্জন ইলিয়াস চৌধুরী জানান, বিভিন্নভাবে প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৩ জন। আমরা কম্পিউটার অপারেটর মমিনুলের পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি।

বিএম কন্টেইনার ডিপোতে প্রায় ২০,০০০ কন্টেইনার রয়েছে। বেশ কিছু খালি পাত্র রয়েছে। কন্টেইনারের বেশিরভাগ পণ্যই গার্মেন্টস পণ্য। এসব পণ্য রপ্তানির জন্য ডিপোতে আনা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানিকৃত পণ্য প্রথমে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে আনা হয়। শুল্ক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রপ্তানিকৃত পণ্য সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়।

বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, রাসায়নিক ও গার্মেন্টস পণ্য থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে অগ্নিকাণ্ডে কতগুলো কন্টেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তিনি জানাননি। ডিপোতে কতজন শ্রমিক কাজ করেন জানতে চাইলে মজিবুর রহমান বলেন, “ডিপোতে শতাধিক শ্রমিক ছিল। আহতদের চিকিৎসার খরচ আমরা বহন করব।’

ফায়ার সার্ভিসকে কেন রাসায়নিকের বিষয়ে অবহিত করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কিছু গোপন করিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *