ছাত্রলীগের অবরোধে চবিতে অচলাবস্থা

0

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় অবরোধ করছে ছাত্রলীগের একাংশ। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন, শিক্ষক বাস ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। ফলে শহর থেকে ক্যাম্পাসে যেতে পারছেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস ও পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ক্যাম্পাসের মাজার গেট এলাকায় ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ ভিএক্সের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও মোহাম্মদ রাশেদকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফের ৭/৮ জন নেতাকর্মী মারধর করে। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের মোটরসাইকেল থামিয়ে ভাংচুর করে। প্রতিবাদে, ভিএক্স গ্রুপের অনুসারীরা জিরো পয়েন্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান প্রবেশদ্বার তালাবদ্ধ করে এবং ক্যাম্পাস ঘেরাও করে রাখে।

ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ ভিএক্সের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, আমি রাতে বাইক চালিয়ে এক নম্বর থেকে আসছিলাম। সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা। ওই সড়কে মাদ্রাসার সামনে এলে একটি স্পিডব্রেকার ছিল। একটু গতি কমানোর পর রাস্তার বাম দিক থেকে ৭/৮ জন ছেলে এসে আমাদের থামালো। কেউ আমার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করবে, আমি সরে যেতেই দূরে তাকাই। তারপর গাড়ি নিয়ে পড়ে গেলাম। এরপর তারা আমাদের মারতে গেলে আমরা পালিয়ে যাই। তারা দুই রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। পরে আমার জুনিয়ররা গাড়ি নিয়ে আসছিল, তারা আমাদের দৌড়াতে দেখে তাদের তাড়া করেছিল। ‘

অবরোধের দাবি জানিয়ে প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা হানিফের অনুসারী। তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।

প্রক্টর রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিক্ষক হিসেবে কয়েকটি বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা আসতে পারেনি।

তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও ফতেপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ হানিফ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে তিনি শুনতে পান, তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ আনা হচ্ছে।

ষোলশহর স্টেশনের সহকারী মাস্টার তন্ময় মজুমদার বলেন, “প্রশাসনের নির্দেশে আমরা ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছি। ক্যাম্পাসে সমস্যা আছে জেনে প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্দেশ দিলে ট্রেন আবার চলবে।’

অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এসে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। “আমি একটি থিসিসে কাজ করতে এসেছি,” বলেছেন রসায়নের ছাত্র নিত দে৷ আমিও আসতে পারব না। এখন এই অবস্থা দেখছি। এক নম্বর থেকে বিজ্ঞান অনুষদে হাঁটা খুবই কষ্টকর। ‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *