মজুদের প্রবণতায় চালের দাম
‘আলু ও ধান জয়পুরহাটের প্রাণ’ প্রবাদে উত্তরবঙ্গে ধানের জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জানা গেছে, মানুষের মধ্যে মজুদের প্রবণতায় চালের দাম বাড়ছে।
ব্যবসায়ীদের মতে, দেশে প্রচুর চাল রয়েছে। তবে গত তিন দিনে চাল বিক্রি বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
জেলার কালাই উপজেলার বড় চালের বাজার। বাজারের চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির তালুকদার জানান, গত বছর এই সময়ে পাঁচশিরা বাজারসহ গোটা জেলার বিভিন্ন গুদাম থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ গাড়ি চাল যেত। দেশের বিভাগীয় শহর। বর্তমানে চালের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ ট্রাক চাল পাঠানো হচ্ছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কায় মজুদ বেড়েছে। চাহিদা বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। এ কারণে মিল মালিকদের মধ্যে ধান কেনার প্রতিযোগিতাও বেড়েছে।
গত বুধবার, মোটা ধান প্রতি কুইন্টাল (৪০ কেজি) ৭৫০ থেকে ৮০ টাকা এবং সরু ধান ১,০৫০ থেকে ১,১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার, মোটা ধান বিক্রি হয়েছে ১,০৫০ থেকে ১,১০০ টাকা এবং সরু ধান ১,৪০০ থেকে ১,৪৫০ টাকায়। মোটা ধান ২০০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা এবং সরু ধান ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা হয়েছে।
পাইকারি বাজারে মোটা চালের দাম প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা এবং মিহি চালের দাম ৪৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০০ টাকা হয়েছে।
রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি ও মেসার্স থ্রি এফ ফুড প্রসেসিং মিলের মালিক আব্দুল আজিজ জানান, গত সপ্তাহে তার মিল থেকে প্রতিদিন গড়ে ২/৩ গাড়ি চাল বিক্রি হয়েছে। কিন্তু তিন দিন ধরে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২টি গাড়ি। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।