অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে মাঙ্কিপক্স  এর চিকিৎসা হতে পারে: গবেষণা

0

মাঙ্কিপক্স একটি নতুন ভাইরাল রোগ নয়। আফ্রিকায় এর আগেও এই রোগের ঘটনা ঘটেছে। নতুন যেটা সেটা ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

করোনা মহামারী এখনও শেষ হয়নি, তবে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও)। যাইহোক, মঙ্গলবার মেডিকেল পিয়ার রিভিউ জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে মাঙ্কিপক্স অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে।

গবেষণাটি  থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ব্রিটেনে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত সাতজন লোককে দেখেছিল৷ সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে কিছু “অ্যান্টিভাইরাল” ওষুধ রয়েছে যা মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি উপশম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ শুধু তাই নয়, এসব ওষুধের সাহায্যে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারছেন।

গবেষকরা দাবি করেছেন যে তারা রোগীদের উপর দুটি ভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োগ করে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করেছেন – ব্রিনসিডোফোভির এবং টেকোভিরিমেট।

যদিও গবেষকরা মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্রিনসিডোফোভির নামক ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত, তারা বিশ্বাস করেন যে ট্যাকোভিরিমেট নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তারা জানান, রক্ত ​​ও লালার নমুনা পরীক্ষা করেই শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়।

ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা এবং পিঠে এবং শরীরে ব্যথা। কাঁপুনি এবং ক্লান্তি হতে পারে। তখন শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে যায়। সঙ্গে মুখে ছোট ছোট দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে সারা শরীরে ফোসকা ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ভাইরাসটি শ্বাসনালী, ক্ষত, নাক, মুখ বা চোখ দিয়ে একজন সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। যৌন মিলনের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *