জকিগঞ্জে আকস্মিক বন্যা তলিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ও ফসলি জমি

0

শুক্রবার সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যার চরম মাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উপজেলার বারহাল, মানিকপুর, কাজলসার ও বীরশ্রী ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন এলাকা ও নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

জকিগঞ্জের বারহাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ বলেন, সুরমা নদীর পানিতে নোয়াগ্রাম, উত্তর খিলগ্রাম, চকবারকুলি, শরিফাবাদ, শাহগলী বাজার ও কচুয়া এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বোরো ধান ডুবে গেছে।

বীরশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার জানান, সুপ্রকান্দি ও বড়চালিয়া গ্রামের বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। পানির উচ্চতা অব্যাহত থাকলে যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি জানান, সুরমা জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, মানিকপুর ইউনিয়নের বাল্লা ও দাপনিয়া এলাকার প্রায় ২০ হেক্টর সবজি ও ১০ হেক্টর বীজতলার উজান ঢলে নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে বিভিন্ন পুকুর ও খামারের মাছ।

গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জকিগঞ্জের দায়িত্বরত ইউএনও পল্লব হোম দাস বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

সরকার জলাবদ্ধতার জন্য ১৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে। ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে ১২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সুরমা-কুশিয়ারের একাধিক স্থানে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাউবো।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের জরুরি সভা ডেকেছেন জকিগঞ্জ-কানাইঘাট (সিলেট-৫) আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *