চাঁদপুরের ২টি গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে

0

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদরা ও শামেসপুর গ্রামের কিছু অংশের মানুষ আফগানিস্তান, নাইজার ও মালির সাথে মিলিত হয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।

রোববার সকালে হাজীগঞ্জের সদর দরবার শরীফ মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে নেতৃত্ব দেন সদর দরবার শরীফের পীর মুফতি আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।

এদিকে গত বছরের মতো এবারও পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখাকে কেন্দ্র করে আগাম ঈদ উদযাপনকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

এ প্রসঙ্গে সদর দরবারের মহান পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, “তিন মাযহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো হানাফী, মালেকী ও হাম্বলী। যদি পৃথিবীর পশ্চিমাংশে চাঁদ দেখা যায় এবং বিশ্বস্ত উপায়ে পৃথিবীর পূর্বাঞ্চলে খবর পৌঁছায়, তাহলে কি হবে? তাহলে পূর্বাঞ্চলের মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ এবং ঈদ।” এটা ওয়াজিব। শনিবার আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখা গেছে। সেই খবরটি নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে পেয়ে আজ আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। এছাড়া ঢাকার সদরঘাটের খানকা, আস্কোনা ও পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরীফে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সময় মতো চাঁদ দেখার তথ্য জানানো না হওয়ায় অনেক গ্রামেই ঈদ উদযাপিত হয়নি। পরে তারা ঈদ উদযাপন করবেন।

তবে সদর দরবার শরীফের আরেক পীর মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ঈদ করছি না। আমার চাচারা ঈদ করলেও আমাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য মনে হয় না। আমরা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করব।

এলাকাবাসী জানায়, সারাদেশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে সদর ও শমেসপুর গ্রামে একদিন আগে থেকেই রোজা শুরু হয়। আজ যখন এই দুই গ্রামের একটি অংশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে, তখন তারা ২৯টি রোজা পালন করেছে। আর বাকিরা সোমবার যখন ঈদ উদযাপন করবে, তখন তারা ৩০টি রোজা পালন করবে।

আরব দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবছর চাঁদপুরের তিন উপজেলার ৪০টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। ৯৩ বছর ধরে প্রথম চাঁদ দেখাকে কেন্দ্র করে সদরসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে আসছেন সদর দরবার শরীফের অনুসারীরা।

সদরা ছাড়াও একদিন আগে যেসব গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়েছে সেগুলো হলো- রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কোরাইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মোহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নয়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

এছাড়া চাঁদপুরের কাছে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলায় একদিন আগে আল্লামা মুফতি মাওলানা ইসহাক চৌধুরীর অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *