রোজা রেখে কিভাবে ওজন কমানো যায়

0

চলছে রমজান মাস। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে মুখরোচক খাবার খেতে চায় সবাই। এ সময় অনেকেই নিজের অজান্তেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেন। পুষ্টিবিদদের মতে, ইফতারের সময় ভাজা, তৈলাক্ত বা চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভালো। এই অভ্যাসের কারণে অনেকেরই রমজানের পর ওজন বেড়ে যায়। তবে রোজা রেখে কিছু নিয়ম মেনে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

পরিমিত চিনি খাওয়ার অভ্যাস: অনেকেই ইফতারে মিষ্টি খাবার খেতে পছন্দ করেন। সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। ইফতারের সময় মিষ্টি খেলে শরীর মজবুত হয় এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে মিষ্টি জাতীয় খাবারে ক্যালরির মাত্রা অনেক বেশি। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে ওজন বাড়তে পারে। তাই পরিমিত মিষ্টি খাওয়াই ভালো। মিষ্টি খেতে চাইলে বিভিন্ন ফল, খেজুর বা বিকল্প চিনি দিয়ে মিষ্টি তৈরি করতে পারেন।

সেহরি মিস করবেন না: সেহরি খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই সেহরি খেতে চান না। সেহরিতে কী খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে সারাদিন রোজা রাখতে হবে। সেহরিতে ভাজা খাবারের পরিবর্তে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ভালো। এতে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তাড়াহুড়ো করে খাবেন না: অনেকে রোজা ভাঙার সময় তাড়াহুড়ো করে বেশি খেয়ে ফেলেন। এটা ঠিক না। খাবারটি উপভোগ করুন এবং এটি ভালভাবে চিবিয়ে নিন। অন্যথায় ওজন বাড়তে পারে। তা ছাড়া ভালো করে চিবিয়ে খেলে হজমশক্তি ও ওজন নিয়ন্ত্রণের উন্নতি ঘটে।

একবারে বেশি খাবেন না: অনেকেই আছেন যারা ইফতারের সময় পেট ভরে রাতের খাবার এড়িয়ে যান। এটা কখনই করা উচিত নয়। ইফতারের কিছুক্ষণ পর খাওয়ার অভ্যাস করুন। নিশ্চিত করুন যে আপনার রাতের খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য রয়েছে।

শরীরে পানিশূন্যতা হতে দেবেন না: গরম আবহাওয়ায় শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এতে রোজা রাখলে দিনের বেশির ভাগ সময় পানি পান করা যাবে না। তাই রোজা ভাঙার পর দুই-তিন লিটার পানি পান করতে হবে। পানির পাশাপাশি খেতে পারেন বিভিন্ন ফলের জুস। এটি শরীরের ভিতরে জমে থাকা টক্সিন বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *