‘টিপ পরছস কেন?’দেশব্যাপী প্রতিবাদ
কপালে টিপ পরা পুলিশ সদস্যের হাতে তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দারের হয়রানির ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। চলছে অবিরাম বিক্ষোভ। ক্ষোভের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও। ফেসবুকে টিপ পরা ছবি নিয়ে প্রতিবাদী হয়েছেন নারীরা। প্রতিবাদের জোয়ারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যোগ দেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ‘টিপ পরা আমার স্বাধীনতা।’
শুধু ফেসবুকই নয়, বিভিন্ন দল-সংগঠনের পাশাপাশি নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য দেন। সমদ্দারকে সমবেদনা জানাচ্ছেন লতা। রোববার সংসদে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। “এটি নারীদের জন্য একটি অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এক বিবৃতিতে ওই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ‘শাহবাগ এগেইনস্ট টর্চার’ সমাবেশে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিচারের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। একই দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অন্যান্য দল ও সংগঠনের নেতারাও।
মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে যে আমাদের রাজনীতি ও সামাজিক সংস্কৃতিতে ভিন্নমত ও ভিন্ন পরিচয়ের প্রতি সাম্প্রদায়িকতা ও অসহিষ্ণুতাকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এখন যেহেতু রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা জনসম্মুখে তা করার সাহস করেছে, এটা বললে ভুল হবে না যে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারক ও নির্বাহীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মনোভাব রোধে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া হয়নি। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নেবেন।
হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, এমনকি যদি সে বিবাহিত বা বিধবা হয় – এটি কোন বিষয় নয়। একটা মেয়ে টিপ পরে আছে। সে একজন শিক্ষক. রিকশা থেকে নামার পর কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা ইভটিজিং করেন।
সুবর্ণা মুস্তাফা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।