ব্লগার অনন্ত বিজয়কে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড
বিজ্ঞান লেখক, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সিলেট বিভাগীয় সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমিন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আবুল খায়ের রশিদ আহমেদ। তিনি জেলে আছেন। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছে। তারা হলেন আবুল হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ও হারুন-উর-রশিদ।
সাফিউর রহমান ফারাবী মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। আরেক আসামি মান্নান ইয়াহিয়া কারাগারে মারা যাওয়ায় মামলা থেকে মুক্তি পান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের পিপি মুমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ১২ মে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সুবিদবাজারের নুরানী আবাসিক এলাকায় বাসা থেকে কয়েকশ গজ দূরে অনন্ত বিজয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার বাংলা টিম। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাস বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ২০১৭ সালের ৯ মে সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী ছয়জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে দুইজন কারাগারে এবং তিনজন পলাতক। অপর আসামি মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহীকে গ্রেপ্তার করা হলেও জেল হেফাজতে তিনি মারা যান। মান্নান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২৩ মে, ২০১৭ তারিখে অভিযোগ গঠনের পর, মামলাটি ২০২০ সালে বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এর পরে, রাষ্ট্রের ২৯জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। অপরদিকে আসামিদের পক্ষে তিন আসামি সাক্ষ্য দেন। ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফারাবী এর আগে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলায় নিহত বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।