ইবি স্মৃতিসৌধে শিক্ষকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি

0

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধের বেদিতে দুই গ্রুপের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ ঘোষিত একাংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তাদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়। শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকরা বেদি থেকে নেমে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এর প্রতিবাদে তারা বেলা ১১টায়  মুজিব ম্যুরাল সমমানে মানববন্ধন করেন।

তবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছে উভয় পক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রশাসনের পর একের পর এক শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংগঠন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ ঘোষিত অংশে ফুল দিয়ে জিয়া পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক কাজী আক্তার ও অধ্যাপক তপন কুমারের নেতৃত্বে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক আহসান উল আম্বিয়া, অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম, নাহিদ হাসান, হাফিজুল ইসলামসহ প্রায় ৩০ জন শিক্ষক। জোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক, ফুল দিয়ে বেদিতে উঠেন।

এ সময় সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম তাদের বাধা দেন। বেদিতে আরোহণের পরও ঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মামুনুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ বিকুল ও সাজ্জাদসহ প্রায় ১৫ জন শিক্ষক। হোসেন তাদের ওপর  চড়াও হন।

 একপর্যায়ে তারা শিক্ষক ইউনিটের ফুলের তোড়া ভেঙে ফেলে। এরপর বেদিতে শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন।

প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলা এ ঘটনায় তিন দফায় শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে অভিযোগ জানাতে গেলে শিক্ষক সমিতির নেতাকর্মীরা বাধা দেন। পরে তিনি তাদের শিক্ষকদের সামনে ধাক্কা দিয়ে বেদি থেকে নামানোর চেষ্টা করেন।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রের ঘোষিত অংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেনও চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকরা বেদি থেকে নেমে যান।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন বলেন, “তাদের জুনিয়র শিক্ষকরা আমাদের সিনিয়রদের অপমান করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আমরা কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’

ঘটনার পর মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর অধিকার সকলেরই রয়েছে।আমরা বঙ্গবন্ধুর কর্মী-সমর্থকদের সুযোগ করে দিয়েছি। বিএনপির লোকজন আমাদের সম্মান না দিয়ে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলাম। এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আমরা সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *